পরীক্ষা প্রস্তুতি

বন সহায়ক ইন্টারভিউ শুরু হয়েছে, কি কি প্রশ্ন করা হচ্ছে জেনে নিন

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তরের “বন সহায়ক” পদের ইন্টারভিউ শুরু হয়েছে। এদিন 23 সেপ্টেম্বর, 2020 তারিখ থেকে কলকাতায় “বন সহায়ক” পদের ইন্টারভিউ শুরু হয়েছে। কলকাতায় বন দপ্তরের অফিসে এই ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে (ইডেন গার্ডেন্স পার্ক, বাবু ঘাট, কলকাতা)। এদিন প্রায় 2000 জন প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। তবে “বন সহায়ক” ইন্টারভিউ সংক্রান্ত কোন অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তর। কেবল আবেদনকারীদের মোবাইল নম্বরে মেসেজ করে ইন্টারভিউ -এর তারিখ ও স্থান জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ‌আলাদা আলাদা জেলাভিত্তিক ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে। তাই রাজ্যের সমস্ত আবেদনকারীকে কলকাতায় এসে ইন্টারভিউ দিতে হবে না। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আলাদা আলাদা ইন্টারভিউ বোর্ডে ইন্টারভিউ নেবে বন দপ্তর। যেসব আবেদনকারীদের কাছে এখনো মেসেজ আসেনি, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তাদের মোবাইলে মেসেজ আসবে।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার জেলার প্রার্থীদের কাছে মেসেজ আসা শুরু হয়েছে। আবেদনকারীদের কাছে প্রাপ্ত হওয়া মেসেজ অনুযায়ী 30 সেপ্টেম্বর, 2020 তারিখ দুপুর 1 টা থেকে ক্ষেত্র অধিকর্তার অফিস, বিটিআর, আলিপুরদুয়ার এই ঠিকানায় ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। এইভাবে ধাপে ধাপে প্রতিটি জেলায় ইন্টারভিউ শুরু হবে।

এদিন 23 সেপ্টেম্বর “বন সহায়ক” ইন্টারভিউ অভিজ্ঞতা-

১) এক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো এডমিট কার্ড লাগবে না। ইন্টারভিউ কক্ষে প্রবেশের আগে মোবাইলে আসা মেসেজ দেখাতে হবে। মোবাইলে আসা মেসেজ দেখালে তবে ঢুকতে দেওয়া হবে। যদি কারো ক্ষেত্রে মোবাইলে মেসেজ না আসে, কিন্তু ওই পরীক্ষার্থীকে কল করে ইন্টারভিউ -এর কথা জানানো হয়েছে, সেক্ষেত্রেও পরীক্ষার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে।

২) ইন্টারভিউ দিতে গেলে সমস্ত অরিজিনাল ডকুমেন্ট সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। যেমন- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমান পত্র, জন্মের প্রমাণপত্র (জন্ম সার্টিফিকেট/ মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড), আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র (প্রযোজ্য হলে), দু কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো (লাগলেও লাগতে পারে), সঙ্গে একটি কলম ইত্যাদি নিয়ে যেতে হবে।

৩) ইন্টারভিউ দিতে গেলে ফর্মাল ড্রেস পরে যেতে হবে। ছেলেদের ক্ষেত্রে সাদা জামা, কালো প্যান্ট। অথবা নেভি ব্লু জামা, কালো প্যান্ট। বেল্ট সহ ইন করে পড়তে হবে। পায়ে কালো সু। মেয়েদের ক্ষেত্রে সালোয়ার সুট অথবা শাড়ি। উভয় ক্ষেত্রেই মার্জিত রঙের হতে হবে।

৪) প্রথমেই তোমাদের সমস্ত অরিজিনাল নথিপত্রগুলো যাচাই করবেন দপ্তরের কর্মীরা। তাই অরিজিনাল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক, অন্যথায় ওই পরীক্ষার্থীকে ইন্টারভিউ দিতে দেওয়া হবে না।

৫) কলকাতার অফিসে ইন্টারভিউ-এর পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, একটি বড় ব্ল্যাকবোর্ড বাংলাতে কয়েকটি লাইন লিখে রাখা হয়েছে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে একটি সাদা কাগজ দেওয়া হবে। ওই সাদা কাগজে নিজের নাম সহ ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা লাইনগুলো লিখতে হবে 2 থেকে 3 মিনিটের মধ্যে। লেখা শেষ করে একটি বাক্সে জমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখা শেষ না করলে ওই পরীক্ষার্থীকে বাতিল করা হবে।

৬) পরবর্তী, ‌ একটি কক্ষে আলাদা আলাদা টেবিলের অফিসাররা বসে রয়েছেন, একটি টেবিলে যেতে হবে। ওখানে একটি ব্ল্যাকবোর্ডে ইংরেজিতে কয়েক লাইন লেখা রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ইংরেজিতে লেখা লাইনগুলো পড়ে শোনাতে হবে।

৭) পরবর্তী, অপরটি টেবিলে যেতে হবে, পরীক্ষার্থীকে কিছু প্রশ্ন করবেন অফিসার। বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা প্রশ্ন হতে পারে। সেদিনের কিছু প্রশ্ন নিচে উল্লেখ করা হলো-

১. তোমার নাম কি?

২. তোমার বাবার নাম কি? তোমার বাবা কি করেন?

৩. পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের নাম কি?

৪. সুন্দরবন কোন জেলায় অবস্থিত?

৫. সুন্দরবনের নাম “সুন্দরবন” রাখা হয়েছে কেন?

৬. সুন্দরবনে কি কি উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়?

৭. তুমি বন সহায়ক পদে চাকরি পাওয়ার পরে, তোমাকে যদি বাড়ির বাইরে থাকতে হয়, তুমি কি থাকতে পারবে?

৮. বন সহায়ক পদে কর্মরত অবস্থায় তুমি যদি ভালো কোন চাকরি পাও তখন তুমি কি করবে?

(ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই প্রশ্নগুলো দেওয়া হলো)

Related Articles