একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে প্রাইমারি টেট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে। নম্বর প্রকাশে গাফিলতি থেকে নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের নাম না থাকা! একাধিক বিভ্রান্তির কবলে এই প্রাইমারি টেট পরীক্ষা। এবার ফের বিতর্ক সৃষ্টি করলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক প্রকাশিত ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নম্বরের ব্রেক আপ নম্বর তালিকা। যে তালিকায় অধিকাংশ প্রার্থীর নম্বর পূর্ণমানের চাইতে বেশি! ঘটনাটি নিয়ে সরব বিভিন্ন মহল।
প্রাইমারি টেট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক যেন চলছেই। পরীক্ষা পদ্ধতি হোক কি নম্বর প্রকাশ একের পর এক বিতর্কে বিদ্ধ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সম্প্রতি ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের প্রত্যেকের নম্বরের ব্রেক আপ নম্বর প্রকাশের নির্দেশ দেয় আদালত। নির্দেশ অনুসারে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের ব্রেক আপ নম্বর প্রকাশ করা হয় পর্ষদের তরফে। এই প্রার্থীদের যারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক, ট্রেনিং, ও ইন্টারভিউতে কত নম্বর পেয়েছেন তার তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
Primary TET Practice Set: Download Now
সেই তালিকা ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। দেখা যায়, তালিকায় কোনোও প্রার্থী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০ শতাংশের মধ্যে ১০ পেয়েছেন, আবার কারোর প্রাপ্ত নম্বর ১০.৯ শতাংশ। অর্থাৎ এই সকল প্রার্থীদের নম্বর পূর্ণ নম্বরের চাইতে অনেক বেশি! অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকের ইতিহাসে পূর্ণ নম্বর অথবা পূর্ণ নম্বরের চাইতে বেশি নম্বর পাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। সূত্রের খবর, পরবর্তীতে ঘটনাটি পর্যালোচনা করে ভুল স্বীকার করে পর্ষদ। এবং ভুল সংশোধনেরও আশ্বাস দেওয়া হয়।
একাধিক বিতর্কে জেরবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পূর্ববর্তী পরীক্ষার নম্বর প্রকাশকে ঘিরে এর আগেই সৃষ্টি হয়েছে বহু বিভ্রান্তি। তদন্ত চলেছে আবার সংশোধনও হয়েছে। কিন্তু ফের নতুন বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ডি.এল.এড পরীক্ষার প্রথম দিনেই ফাঁস হয় প্রশ্নপত্র। এবার সেখানেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এর মধ্যেই ফের টেট নম্বর তালিকা ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।