টেট দুর্নীতির কারণে অশান্ত রাজ্য। ধর্ণা, আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন রাজ্যের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন ফের ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হলো এক্সাইড মোড় চত্বর। পুলিশের সাথে চলে ধস্তাধস্তি। জখম হয়ে রক্তাক্ত হন বহু চাকরিপ্রার্থী। আন্দোলনের স্লোগানে শোনা যায়, ‘হয় নিয়োগ না হয় মৃত্যু’।
এর আগে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়েছে করুণাময়ী চত্বর। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে আমরণ অনশনে বসেছিলেন তাঁরা। দাবি ছিল একটাই “নিয়োগ করা হোক, চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক”। সে আন্দোলনের চারদিনের মাথায় পুলিশ ‘বলপূর্বক’ ভেঙে দেয় আন্দোলন। জোর করে তুলে দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। সেই ঘটনার পরেও প্রতিবাদ বজায় রাখেন তাঁরা। ধর্ণা কর্মসূচিতে অংশ নেন চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর ফের চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কলকাতার এক্সাইড মোড় চত্বর। এদিন সেখানেই একজোট হন ২০১৪ র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।
আরও পড়ুনঃ বিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের ভাগ্য সুপ্রিম কোর্টের হাতে
বিক্ষোভ কর্মসূচি রুখতে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আনা হয় প্রিজন ভ্যান। আন্দোলন ভাঙতে চাকরিপ্রার্থীদের তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ বহু চাকরিপ্রার্থী প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়ে পড়েন। তাঁদের স্লোগানে শোনা যায়, “হয় নিয়োগ না হয় মৃত্যু”। ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু আন্দোলনকারী। পুলিশ বলপূর্বক আন্দোলন ভাঙতে গেলে ধস্তাধস্তিতে রক্তাক্ত ও হন তাঁরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন বহু চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের কথায়, “আমাদের চাকরি বিক্রি হয়ে গিয়েছে, আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক”। বিক্ষোভ এগোতে রবীন্দ্রসদন মেট্রোর সামনেও জমায়েত হন তাঁরা। তাঁদের সামলাতে হিমসিম খায় পুলিশ। এরইমধ্যে বেশ কিছু আন্দোলনকারী এলগিন রোডের মোড় অবরোধ করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ হয় যান চলাচল। এক্সাইড মোড়ে ভিড় জমান মানুষজন। এদিন আন্দোলনকারীদের দাবি, “আমাদের এই আন্দোলন এত সহজে থামার নয়। এই আন্দোলন চলতে থাকবে”।