শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে জেরবার রাজ্য। বিভিন্ন পদের নিয়োগে মিলেছে দুর্নীতির হদিশ। নিত্যদিন প্রকাশ পাচ্ছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এদিকে সম্প্রতি হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই ও ইডিকে যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিলেন।
২০১৪ সালে আয়োজিত টেট পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালে প্রার্থীদের নিয়োগ তালিকা প্রকাশ পেয়েছিল। তবে এই নিয়োগের প্রক্রিয়া কতটা সঠিক পথে হয়েছিল? এবার তারই তদন্ত করে হাইকোর্টের নিকট রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুই তদন্তকারী সংস্থাকে। সূত্রের খবর, এর সাথে ২০১৪ সালের টেট উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির’ বিষয়েও তদন্ত চালানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে মাধ্যমিক পাশে প্রজেক্ট টেকনিশিয়ান নিয়োগ
জানানো হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির (অস্থায়ী) সদস্যদেরও প্রয়োজনে জেরা করতে পারবেন। তবে অ্যাড হক কমিটির ৮০ বছরের মহিলা সদস্যকে হেফাজতে নেওয়া যাবে না বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ তালিকা নিয়ে অসংগতির অভিযোগ তুলে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। মামলার শুনানিতে সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্তভার পড়লো দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। জানা যাচ্ছে, আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে এই তদন্ত সম্বন্ধীয় রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।