শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গ। মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের জায়গায় টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে অযোগ্য প্রার্থীদের। ২০১৪ সালে যে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল, তাতে বিস্তর দুর্নীতির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সে সময় চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে জেলাগুলির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত মাসে পৌছেছিল সেই চিঠি। পর্ষদের নির্দেশ মেনে আগামী ৮ই মে পুরুলিয়া জেলার প্রার্থীদের তথ্য পাঠানো হবে।
কী কী তথ্য চাওয়া হয়েছে? সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, পরীক্ষার রোল নম্বর, কবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন, কোন স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি কোন শ্রেণীভুক্ত, ব্যাক্তির মোবাইল নম্বর সহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই অভিযোগ এসেছে যে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তাতে সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি পুরুলিয়ায়।
আরও পড়ুনঃ টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সার্টিফিকেট ইস্যু করলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০১৪ সালের টেটের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য চেয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরমধ্যে ফের পর্ষদের নির্দেশ মিলতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৎপরতা শুরু হয়েছে। পুরুলিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলার ৪৫টি চক্র থেকে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য জোগাড় করে অতি শীঘ্রই জমা দিতে হবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে।