২০১৬ সালের প্রাইমারি টেট ইন্টারভিউতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কিনা তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। চাকরিপ্রার্থীরা দাবি করেছিলেন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই সেবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল প্রার্থীদের। এরপর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোট ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে তলব করে হাইকোর্ট। রুদ্ধদ্বারে তাঁদের জেরা করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই জিজ্ঞাসাবাদের পরেই সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গত ২১শে ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একে একে তিরিশ জন পরীক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদিন শুক্রবার প্রকাশ্যে এসেছে সেই প্রশ্নোত্তর পর্বের লিখিত প্রতিলিপি। সূত্রের খবর, জানা যাচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্টারভিউয়াররা বলেছেন অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার কোনোও নির্দেশ ছিল না! বিচারপতির সামনে এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসা ইন্টারভিউয়াররা। অর্থাৎ বিষয়টি স্পষ্ট যে ২০১৬ সালের টেট ইন্টারভিউতে কোনোও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি পরীক্ষার্থীদের।
চাকরির খবরঃ ভারতীয় স্টেট ব্যাংকে কর্মী নিয়োগ
প্রসঙ্গত, ২০১৪ র প্রাইমারি টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে যে ইন্টারভিউ আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া নিয়ে বিতর্ক হতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে নির্দেশ দেন তথ্য সমন্বিত হলফনামা জমা দিতে। পর্ষদের হলফনামা দেখে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল সে বছর কোনোও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। বরং ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টকে একসঙ্গে করে গড় নম্বর দেওয়া হয়েছিল।