এদিন ছিল প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি। এদিন শুনানি চলাকালীন সময়ে প্রাথমিকের প্রায় ৫৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মামলায় আগামী দিনে যে আরও প্রার্থীর চাকরি বাতিল হতে পারে সেদিকেও ইঙ্গিত মিলেছে। নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে ফের প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হতে রাজ্য জুড়ে শুরু জোর জল্পনা।
রাজ্যে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় অতিরিক্ত এক নম্বর দিয়ে পাশ করানোর অভিযোগে ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ওঠে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের কেন অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হলো তা নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট জবাব মেলেনি পর্ষদের তরফে। হাইকোর্টের রায় ঘোষণা হবার পর এই ২৬৯ জন প্রার্থী চাকরি ফেরানোর আর্জি নিয়ে দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে সুপ্রিম কোর্ট মামলার স্থগিতাদেশ দেন।
বহিষ্কৃত হওয়া শিক্ষকদের বক্তব্য শোনার পরামর্শ দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্ট কে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলাটি ফের পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাইকোর্টে। এরপর সংশ্লিষ্ট নির্দেশ জানতে পেরে বেশ কিছু শিক্ষক তাঁদের বক্তব্য জানান হাইকোর্টে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে আবেদন করেন তাঁরা। হলফনামা জমা দেন প্রায় ৫৪ জন প্রার্থী।
চাকরির খবরঃ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে নন টিচিং স্টাফ নিয়োগ
এরপরেই বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই ৫৪ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেন। একজন শিক্ষকের জরিমানা হয় দশ হাজার টাকা। এদিন আদালতের নির্দেশের পরেই ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ওঠে রাজনৈতিক তরজাও। একইসাথে আগামীদিনে প্রায় ২০-২৫ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল হতে পারে এমনও দাবি উঠছে।