চাকরির খবর

পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে গেলো ৭ টি স্কুল, চিন্তায় অভিভাবকরা

Advertisement

করোনা সংকট স্থিতিশীল হতে না হতেই পুনরায় বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমনের হার।‌ করোনা সংক্রমনের হার কমতেই ছাত্র- ছাত্রীদের সুবিধার্থে রাজ্যের স্কুলগুলি পুনরায় খুলেছিলো। এবার ঠিক ছাত্রছাত্রীর অভাবেই সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেল এ রাজ্যের সাত সাতটি স্কুল। ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাতটি জুনিয়র হাই স্কুল বন্ধ হয়ে গেলো জেলার। শিক্ষা হারের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এই জেলা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে, প্রতি বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল দেখলেই তা বোঝা যায়। সরকারের নির্দেশে স্কুল খুললেও দেখা নেই ছাত্র-ছাত্রীদের। এই দুরাবস্থার কারণ ভেবে পাচ্ছেননা স্কুল শিক্ষক তথা শিক্ষা মহল।

জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শিক্ষা আধিকারিকদের তরফ থেকে করা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই জেলার স্কুল গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার একেবারে নেই বললেই চলে। তাই বন্ধের পথে এই জেলার ৭ টি জুনিয়র হাই স্কুল। বন্ধ হওয়া স্কুলগুলির মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ দাউদপুর স্টেট প্ল্যান জুনিয়র হাই স্কুল, কাঁথির ব্রাহ্মণ চক জুনিয়র হাই স্কুল, এছাড়া এগরা, নন্দীগ্রাম, খেজুরি, ময়না এবং ভগবানপুর ব্লক এলাকাগুলির একটি করে জুনিয়র হাই স্কুল, ছাত্র-ছাত্রীদের অভাবে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। এই স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্যত্র বদলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তবে এই করুন পরিস্থিতির জন্য শিক্ষা মহল করোনাকেই মূল কারণ বলে মনে করছেন। স্কুল জেলা পরিদর্শক শুভাশিস মিত্র জানান, রাজ্য সরকার শূন্য উপস্থিতি ছিল এমন স্কুল গুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। জেলার সাতটি বিদ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রীদের উপস্থিতির হার শূন্য হওয়ায় ওই স্কুলের শিক্ষকদের অন্য বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ
কলকাতা জব ফেয়ার ২০২২ আবেদন করুন
মাধ্যমিক পাশে শ্রম দপ্তরে কর্মী নিয়োগ
MGNREGA প্রকল্পে চাকরির সুযোগ

ছাত্র- ছাত্রীর অভাবে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কারন‌ এখন ওই এলাকার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের নিকটস্থ স্কুলের অভাবে ঘর থেকে প্রায় অনেক দূরের স্কুলে গিয়ে পঠন পাঠন করতে হবে। তবে এই স্কুল বন্ধের ঘটনা ছাত্র- ছাত্রীদের জন্য হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে আবার নতুন করে স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। করোনা কাটিয়ে কবে পড়ুয়ারা পুরো দমে স্কুলে যেতে পারবে তা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

Related Articles