এর আগে বৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন এমন দাবিতে আদালতে হলফনামা জমা দেন প্রায় ৫৪ জন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবার ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন আরও ৮৮ জন শিক্ষক। তাঁদের দাবি, অবৈধ নয় তাঁরা প্রত্যেকেই বৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন।
কিছুদিন আগেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় ২৬৮ জন প্রাথমিকের শিক্ষকের। এরপর এই সকল শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে হাইকোর্টকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বক্তব্য শোনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সাথে এই শিক্ষকদের বলা হয় তাঁরা যে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাননি তার প্রমাণ পেশ করতে। সমস্ত বিবেচনা করে হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নিলে চাকরি বজায় থাকবে এই শিক্ষকদের।
আরও পড়ুনঃ OMR শিটে নেই পরীক্ষকের সই! অথচ দিব্যি শিক্ষকতা করছেন!
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, চাকরি বৈধ এহেন দাবিতে হাইকোর্টে হলফনামা জমা করেন প্রাথমিকের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা। এর আগে ৫৪ জন শিক্ষক তাঁদের বক্তব্য জানান। তবে এঁদের মধ্যে ৫৩ জন শিক্ষকেরই চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবার ফের ৮৮ জন শিক্ষক চাকরি বাঁচানোর তাগিদে দ্বারস্থ হলেন হাইকোর্টের।
এই ৮৮ জন শিক্ষক তাঁদের চাকরির বৈধতার দাবিতে হলফনামা জমা দিলেন আদালতে। আগামী সপ্তাহে তাঁদের আবেদন শুনবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার শুনানি হবে আগামী সপ্তাহে। প্রসঙ্গত, চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৪২ জন শিক্ষকের হলফনামা জমা পড়েছে আদালতে। তবে বাকি ১২৬ জন শিক্ষক এখনও তাঁদের বক্তব্য জানাননি।