চারিদিকে নিয়োগ দুর্নীতির জটিলতার মাঝে এবার হাসি ফুটলো চাকরিপ্রার্থীদের মুখে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে ইন্টারভিউর ডাক পেলেন ৯২ জন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী। দীর্ঘ ছয় বছর পর অবশেষে চাকরির ইন্টারভিউতে আসার সুযোগ পাওয়ায় খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। ধন্যবাদ জানালেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
রাজ্যে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলছে তাতে কার্যতই এখনও অন্ধকারে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যত। টেট, এসএসসি সর্বত্রই ঘিরে রয়েছে দুর্নীতির কালো ছায়া। আন্দোলন, বিক্ষোভ, ধর্ণার পরেও মেলেনি চাকরি, ঘটেছে রক্তপাত! আদালতে প্রায় দিন চলছে একাধিক মামলার শুনানি।পুলিশি অত্যাচার সাথে ‘বলপ্রয়োগ’ কিছুই বাদ যায়নি ‘শিক্ষক’ হতে চাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের ওপর। তবে অবশেষে কিছুটা স্বস্তি মিললো চাকরিপ্রার্থীদের। প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পর্ষদের তরফে ডাক পেলেন ৯২ জন চাকরিপ্রার্থী। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে হবে তাঁদের ইন্টারভিউ। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এই ৯২ জন প্রার্থীর নথি ভেরিফিকেশনের পর তাঁদের সুপারিশপত্র দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রসঙ্গত, টেটের ভুল প্রশ্ন নিয়ে যে মামলা আদালতে চলছিল সম্প্রতি সেই মামলায় এই ৯২ জন চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই অনুযায়ী এদিন পর্ষদের অফিসে তলব করা হয় চাকরিপ্রার্থীদের। ২০১৬ সালে তাঁদের চাকরি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছর পর অবশেষে বিচারপতির নির্দেশে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন তাঁরা।
এদিন চাকরিপ্রার্থীদের কথায়, তাঁদের মধ্যে অনেকেরই বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যদি তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দিতেন তবে শিক্ষিত হয়েও বেকার হয়ে থাকতে হতো তাঁদের। এদিন বিচারপতির উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জানালেন তাঁরা। একইসাথে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে এদিন বাস্তবিকই খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।