শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে রাজ্য তোলপাড়। তারই মধ্যে টেট পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কারা টেট পরীক্ষা দিতে পারবে তার কথাও জানানো হয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে এক নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নব প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে টেট পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা মাপকাঠিতে সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল, আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্যে টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে কোনোরূপ বদল হচ্ছে না। শুধুমাত্র যোগ্যতার মাপকাঠিতে অতি সামান্য বদল এনেছে পর্ষদ।
Primary TET New Notification Today
পূর্বে যোগ্যতা কেমন ছিল?
পরীক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।
সেই সঙ্গে নিম্নে বর্ণিত যোগ্যতা গুলির যেকোনোটি থাকা আবশ্যক।
১. এলিমেন্টারি এডুকেশনে দুই বছরের ডিপ্লোমা বা ডিগ্ৰি থাকতে হবে।
২. এলিমেন্টারি এডুকেশনে চার বছরের ব্যাচেলার ডিগ্ৰি থাকতে হবে।
৩. স্পেশাল এডুকেশনে ডিপ্লোমা অথবা রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া দ্বারা স্বীকৃত একটি কোর্সে পাশ করতে হবে।
৪. যাঁরা এন.সি.টি.ই স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দুই বছরের ডি.এল.এড কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু রেজাল্ট প্রকাশিত হয়নি অর্থাৎ রেজাল্টের প্রতীক্ষায় রয়েছেন, তাঁরাও এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
৫. যাঁরা ডি.এল.এড বা ডি.এড (স্পেশাল এডুকেশন) কিংবা বি.এড এর প্রশিক্ষণ (২০২০ -২০২২) নিচ্ছেন অথবা ডি.এল.এড বা ডি.এড (স্পেশাল এডুকেশন) বা বি.এড এর পার্ট ১ এর পরীক্ষাটি দেওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তাঁরাও এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
এছাড়াও, কোনো পরীক্ষার্থীদের যদি স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নাম্বার সহ বি.এড ডিগ্রি থাকে, তারাও এই পরীক্ষায় বসতে পারবে।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কি বলা হয়েছে?
পূর্বের বিজ্ঞপ্তিতে উপরিউক্ত যোগ্যতার মাপকাঠি স্পষ্টই বর্ণনা করা ছিল। কিন্তু এদিনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বি.এড বা ডি.এল.এড কোর্সে যারা নাম নথিভুক্তকরন (enrolled) করেছেন তারাও ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে আবেদনপত্র জমা করা যাবে। জেনারেল ক্যাটাগরির পরীক্ষার্থীদের জন্য আবেদন ফী ১৫০ টাকা। সংরক্ষিত শ্রেণীর জন্য নির্দিষ্ট নিয়মে আবেদন ফী’তে বিশেষ ছাড় রয়েছে।