রাজ্যে টেট নিয়ে জটিলতা বেড়েই চলেছে। একদিকে রাজধানী রাজপথে ২০১৪ এর টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা আমরণ অনশনে বসেছেন, অপরদিকে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিজের অবস্থানে অনড়। এদিন বিকালে প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল আবারও সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন। আইন ও নিয়ম মেনে সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে, মত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। গৌতম পাল বলেন, স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে। মেধা মেনে চলবো। আইন মেনে চলব। এদিনের বক্তব্যে তিনি আরো স্পষ্ট করে দেন যে, রাস্তায় আন্দোলনরত ২০১৪ এর চাকরিপ্রার্থীদের দাবিকে পর্ষদ কোনমতেই মেনে নেবে না। বরং তিনি আবেদন করেন তাদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য।
কলকাতার সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সংলগ্ন এলাকায় ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আমরণ অনশন আজ তৃতীয় দিনে পড়েছে। এরই মধ্যে বহু অনশনকারীর স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতির দিকে গেছে। অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই প্রসঙ্গে গৌতম পাল বলেন, যারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এটা অনভিপ্রেত। অনশন তুলে নিন। সবাই সুস্থ থাকুন। ২০১৪ এর টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের মূল দাবি, তারা এর পূর্বে দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন কিন্তু দুর্নীতির কারনে বঞ্চিত হয়েছেন আবারও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে তারা অনিচ্ছুক।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার রাস্তায় আমরণ অনশন টেট উত্তীর্ণদের
এরই পাশাপাশি রাজ্যের টেট নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন এক নতুন মোড় নিতে চলেছে। ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছেন। তাদের বক্তব্য প্রায় ছয় বছর পর ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পাওয়ার আশা করছেন তারা। অথচ ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দাবি মেনে নিয়োগ হলে তাদের সমস্যা হবে অর্থাৎ শূন্যপদ কমে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে কেড নিয়ে জটিলতা কাটছে তো না বরং বাড়ছে। পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, পর্ষদ সবাইকে সমান চোখে দেখছে। ২০১৭ তে উত্তীর্ণদের আগে চাকরি দেওয়ার কথা কখনো ভাবছে না। কিংবা ২০১৪ এর টেট উত্তীর্ণরা দুইবার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার কারণে তাদের বাদ দেওয়ার কথা ভাবছে না। শুধুমাত্র টেট পাশ করা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের আগে নিয়োগ দেওয়া হবে।