অবশেষে প্রকাশ পেল ২০১৭ র টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ নম্বরের তালিকা। এদিন সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট মারফত বিজ্ঞপ্তির সাথে বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয় তালিকাটি। এর আগে ২০১৭ র টেটের ফলপ্রকাশ হলেও আলাদাভাবে নম্বর জানতে পারেননি পরীক্ষার্থীরা। এদিন টেট উত্তীর্ণদের প্রায় নয় হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থীর নম্বর প্রকাশ করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয় সেখানে এও জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে টেট পরীক্ষার সংরক্ষিত শ্রেণীর যে সমস্ত পরীক্ষার্থীরা যারা ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছিলেন, তাঁরা সবাই টেট উত্তীর্ণ হিসেবে মান্যতা পাবেন। এবং এই তালিকার পরীক্ষার্থীদের নম্বর খুব শীঘ্রই পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ র পর কেটে গিয়েছে একটা দীর্ঘ সময়। তবু পর্ষদের দিক থেকে এতদিনেও শংসাপত্র না দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন বহু টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী। অন্য দিকে রাজ্যে শুরু হয়েছে ২০২২ এর টেট ইন্টারভিউ আবেদন প্রক্রিয়া। একদিকে টেট পাশের পর শংসাপত্র না পাওয়ায় অন্যদিকে পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর সঠিকভাবে জানতে না পারায় আবেদনের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিতে পড়েছিলেন আবেদনকারীরা। যার দরুন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এ বিষয়ে আদালতে মামলাও চলে। পরীক্ষার পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও কেন পরীক্ষার্থীদের নম্বর জানানো হলো না সে বিষয়ে পর্ষদকে সরাসরি প্রশ্ন করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইন্টারভিউর ফর্ম পূরণের জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর জানা যে জরুরি সে কথাও জানানো হয়।
আরও খবরঃ
প্রাইমারি টেট পেডাগজি প্র্যাক্টিস সেট
প্রাইমারি টেট পরিবেশ বিদ্যা প্র্যাক্টিস সেট
এরপর, সোমবার পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে জানান মহামান্য আদালতের নির্দেশ অনুসারে এদিনই বহু প্রতিক্ষিত ২০১৭ র টেট পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হতে চলেছে। ঘোষণামাফিক এদিনই পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে জানানো হয় নম্বর তালিকা। যদিও ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের নম্বর এখনও প্রকাশ পায়নি। এতদিন পেরিয়ে গেলেও নম্বর প্রকাশ করতে না পারার গাফিলতি স্বীকার করেই পর্ষদ সভাপতি এদিন বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বর তালিকাও প্রকাশ পাবে।
এবং একইসাথে এই দুই বছরের অর্থাৎ ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ শেষ হলে এই সকল পরীক্ষার্থীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে। পর্ষদ সভাপতি এদিন বলেন, এবছর থেকে অর্থাৎ ২০২২ এর টেট পরীক্ষার ক্ষেত্রে এরূপ বিলম্ব ঘটবে না। পরীক্ষার পরই ফলপ্রকাশ ও মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে, দেওয়া হবে শংসাপত্র। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে এবং নিরপক্ষভাবেই পরীক্ষা পদ্ধতি পরিচালনা করা হবে।