এদিন বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রকাশ পেল ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় ‘৮২’ পাওয়া পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা। এই সকল প্রার্থীরা পরীক্ষায় ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৮২ পেয়েছেন। এই পরীক্ষার্থীরা সকলেই সংরক্ষিত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এদিন পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞপ্তিটি ও সাথে প্রার্থীদের তালিকা। বিজ্ঞপ্তিটিতে জানানো হয়েছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে ২০১৭ টেট পরীক্ষায় ৮২ পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য করে তাঁদের তালিকা প্রকাশ করা হলো।
এর আগে টেটে অংশগ্রহণকারী কিছুজন পরীক্ষার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন এই মর্মে যে তাঁরা টেট পরীক্ষার পূর্ণনম্বর ১৫০ এর মধ্যে ৮২ পেয়েছেন অর্থাৎ শতাংশের বিচারে তাঁদের নম্বর হয়েছে ৫৪.৬৭ শতাংশ। এই নম্বরকে নিয়ম অনুসারে ৫৫ শতাংশ নম্বর বলেই গণ্য করা হয়। এবং টেট পরীক্ষার নিয়ম অনুসারে ৫৫ শতাংশ নম্বর পেলেই সেই প্রার্থীকে টেট পাশ বলেই ধরা হয়। একই সাথে মামলাকারীদের আইনজীবী টেটের ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত বিষয়টিও আদালতের কাছে তুলে ধরেন। এহেন বিষয় সমূহ পর্যালোচনার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন যে সকল পরীক্ষার্থীরা টেট পরীক্ষায় ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৮২ পেয়েছেন, তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। একইসাথে বিচারপতি এই সকল সংরক্ষিত শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশেও পর্ষদকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ বিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের ভাগ্য সুপ্রিম কোর্টের হাতে
সম্প্রতি পর্ষদের তরফ থেকে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবং একইসাথে একটি বিজ্ঞপ্তিও দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেখানে জানানো হয়, মহামান্য আদালতের নির্দেশ অনুসারে টেট পরীক্ষায় ১৫০ নম্বরের মধ্যে যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন তাঁরা সকলেই টেট উত্তীর্ণ হিসেবে মান্যতা পাবেন। এবং এই পরীক্ষার্থীদের তালিকা খুব শীঘ্রই প্রকাশ করতে চলেছে পর্ষদ। সেইমতো এদিন বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তির সাথে ৮২ নম্বর পাওয়া সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবং এই সকল প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নম্বর ও প্রকাশ করা হবে।