পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত বন সহায়ক পদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। বন সহায়ক আবেদনের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণী পাশ, কিন্তু বহু আবেদনকারী মধ্যে কেউ M.A বা M.Sc. আবার কেউ কেউ পিএইচডি ডিগ্রিধারী। আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দেখে বন কর্তারা স্তম্বিত হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বন সহায়ক পদে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ২ হাজার থাকলেও, আবেদনকারীর সংখ্যা ২০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। কোন লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে বন সহায়ক নিয়োগ করা হবে। তাই এত সংখ্যক আবেদনকারীর ইন্টারভিউ কিভাবে নেওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের বনদপ্তর।
গত বুধবার ছিল আবেদনের শেষ তারিখ, সবাই আবেদন করেছেন। এবার বন দপ্তরের অফিস গুলিতে সমস্ত আবেদন পত্র স্ক্রুটিনি করা হবে। স্ক্রুটিনি প্রক্রিয়া শেষ হলে তারপর হবে ইন্টারভিউ। সূত্রের খবর, স্ক্রুটিনিতে আবেদনপত্র বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল অন্তত অষ্টম শ্রেণী পাস। সেক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। বনদপ্তর আধিকারিকরা মনে করছেন বেশিরভাগ আবেদনকারী ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন।
পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার মধ্যে মোট ৯ টি জোন ভাগ করে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। ইন্টারভিউ শীঘ্র করার প্রয়োজনে ইন্টারভিউ বোর্ডের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকবেন ৩ জন মেম্বার। দুজন DFO, একজন চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট। মোট ৩০০ নম্বরের ইন্টারভিউ হবে। ৩০০ নম্বরের উপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হবে মেরিট লিস্ট।
ইন্টারভিউ কবে হবে? অফিশিয়াল আপডেট প্রকাশিত হলে সবার প্রথমে জানানো হবে। ইন্টারভিউ কবে হবে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলে জানানো হবে।