সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছিলেন ৯৩ জন চাকরিপ্রার্থী। হাইকোর্টের বিচারপতির তরফে এই প্রার্থীদের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার নির্দেশ আসে। সেই মতো ইন্টারভিউ নেওয়া হয় তাঁদের। জানানো হয়, ইন্টারভিউর পর নথি যাচাইকরণ সেরে সুপারিশপত্র মিলবে। এরপরই এদিন পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হলো শীঘ্রই নিয়োগ পেতে চলেছেন এই ‘৯৩’ জন চাকরিপ্রার্থী।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির তল্লাশি চলছেই। তদন্তভার গ্রহণ করেছেন সিবিআই অফিসারেরা। অন্যদিকে আদালতে নিত্যদিন শুনানি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার। অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেরকমই টেটের ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত একটি মামলায় সমস্ত দিক পর্যালোচনা করে বিচারপতি নির্দেশ দেন, এই সকল প্রার্থীদের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে। নির্দেশ অনুসারে পর্ষদের অফিসে ইন্টারভিউর ডাক মেলে এই ৯৩ জন চাকরিপ্রার্থীর। জানানো হয়, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার শেষে নথি যাচাইকরণের পর সুপারিশপত্র পাবেন তাঁরা।
Primary TET Practice Set: Download Now
ডাক পাওয়া এই প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালে। দীর্ঘ ছয় বছর পর ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি হন চাকরিপ্রার্থীরা। আশ্বাস ছিল চাকরি মিলবে। এদিন সেই মর্মেই প্রকাশ পেল বিজ্ঞপ্তি ও নির্বাচিত প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে জানানো হলো, নিয়োগ হবে ইন্টারভিউ সম্পন্ন হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের। রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে অ্যাসিস্টেন্ট টিচার পদে নিয়োগ পাবেন তাঁরা। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীকে জেলা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের সাথে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচিত এই প্রার্থীদের অনেকেরই বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে। তাঁদের কথায়, হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যদি তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দিতেন তবে শিক্ষিত হয়েও বেকার হয়ে থাকতে হতো তাঁদের। তবে অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পর্ষদের এহেন সিদ্ধান্তে বাস্তবিকই খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।