রাজ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া ডি.এল.এড এর ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। সমস্ত বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জানানো হলে পর্ষদের তরফে তদন্তের আশ্বাস মেলে। তারপরই নির্দেশিকা পাঠিয়ে সতর্ক করা হয় প্রতিটি জেলাকে। তবে এরইমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস কান্ডে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে এদিন সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় নবান্নের তরফে।
রাজ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডি.এল.এড এর ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা। গত সোমবার থেকে শুরু হয় পরীক্ষা। এবং প্রথম দিনের এডুকেশনাল স্টাডিজ এর পরীক্ষা থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। পরীক্ষা শুরুর আগেই ১০টা ৪৭মিনিট নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। সূত্রের দাবি, পরীক্ষা হলের প্রশ্নপত্রের সাথে তার হুবহু মিল বর্তমান। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জানানো হলে প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করা হয়। তবে পরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সমগ্র ঘটনাটিকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যায়িত করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনাটির সত্যতা নির্ণয়ে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপরই নড়ে চড়ে বসে পর্ষদ।
Primary TET Practice Set: Download Now
বিস্তারিত নির্দেশিকা পাঠিয়ে সতর্ক করা হয় জেলাগুলিকে। প্রত্যেক জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশ্য পাঠানো হয় নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকায় জানানো হয় এর পরের পরীক্ষাগুলি থেকে প্রশ্নপত্র কোনোভাবেই সকাল ১১:১৫ র আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছবে না। সাথে বলা হয়, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে সিল অবস্থাতেই প্রত্যেক পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জ থানা বা কাস্টোডিয়াম থেকে প্রশ্নপত্রগুলি সংগ্রহ করবে। এছাড়াও হুঁশিয়ারি আসে ডি.এল.এড পরীক্ষায় কোনোও গাফিলতি দেখলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে তদন্তের জন্য সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এসবের মাঝেই এদিন রাজ্যের তরফেও কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো সংশ্লিষ্ট ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে। নবান্নের নির্দেশে এবার ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের’ তদন্ত করবে সিআইডি। কোথা থেকে ও কিভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো, এবং ঘটনাটির সাথে জড়িতই বা আছেন কারা, এই সমস্ত বিষয়ের তদন্ত চালাবে সিআইডি। যদিও পর্ষদের দাবি, সিআইডি তদন্তের বিষয়টি নিয়ে তারা অবগত নন। তবে কি সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে প্রশ্ন ভাইরাল হওয়ার জন্য বাতিল হতে পারে পরীক্ষা? পরীক্ষা বাতিল নিয়ে পর্ষদের তরফে কোন মন্তব্য না করা হলেও রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।