আগের বছরের তুলনায় এবছরে কমতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা। এমনটাই জানা যাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। কিন্তু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার কারণ কি শুধুই স্কুলছুট? উত্তর দিলেন পর্ষদ কর্তারা। জানা যাচ্ছে, আগের চাইতে এবছর অনেকটাই কম হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা। তবে এর কারণে শুধুমাত্র স্কুলছুটকেই দায়ী করছে না পর্ষদ। বরং পর্ষদ কর্তাদের বক্তব্য, এর মূলে রয়েছে ‘রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট’ বা ‘শিক্ষার অধিকার আইন’। যার কারণেই কার্যত হ্রাস পাচ্ছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। তবে কত হ্রাস পাচ্ছে সে বিষয়ে এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। বিদ্যালয়গুলি থেকে এনরোলমেন্ট ফর্ম পূরণ করে পাঠালে জানা যাবে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
পর্ষদ কর্তাদের কথায়, এই ‘শিক্ষার অধিকার আইন’ অনুসারে ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রথম শ্রেণীতে এবং দশ বছরের নীচের শিশুদের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করা যাবে না। গত ২০১৩ সাল থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ে চালু হয় এই ‘শিক্ষার অধিকার আইন’। ফলে এই আইন মোতাবেক সে বছর যে সকল পড়ুয়ারা প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিল তাঁরাই এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। এদিকে ২০১৩ থেকেই আইন লাগু হওয়ায় সেবছর বহু ছেলেমেয়ে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কমতে চলেছে মাধ্যমিকে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের সংখ্যাও।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পরিক্ষা রুটিন ২০২৩
অবশেষে কোভিড পরিস্থিতি পেরিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে মাধ্যমিক পরীক্ষার তোড়জোড় চলছে রাজ্য জুড়ে। একাধিক নিয়ম নীতি জারি করে পরীক্ষার সফলতায় তৎপর রাজ্য। তবে বিগত বছরগুলিতে কোভিড পরিস্থিতি বজায় থাকায় মাধ্যমিকের আগেই বহু পড়ুয়া পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। এছাড়া বহু বিদ্যালয়ে বেড়েছে স্কুলছুটের ঘটনাও। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য একে তো স্কুলছুট তার সাথে যুক্ত হয়েছে বয়স-বিধিও।
এই দুয়ের কারণেই কমছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা। হাওড়ার ডোমজুড়ের কেশবপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর দাস বাবুর বক্তব্যও তেমনই। তবে এও মনে করা হচ্ছে, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেলে স্বাভাবিকভাবেই কমবে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যাও। সেই দিক থেকেও ভাবছে পর্ষদ। বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিকের পথে রাজ্য। আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চলছে প্রস্তুতি। যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে সার্বিকভাবে পরীক্ষার সফলতায় তৎপর রাজ্য প্রশাসন।