![চাকরি না করেও অযোগ্যদের তালিকায় নাম](https://exambangla.com/wp-content/uploads/2022/11/20221111_124659-1.jpg)
ফের অস্বস্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সদ্য প্রকাশিত অযোগ্য প্রার্থী তালিকা ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে সামনে আসে ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর নাম। সেখানে অভিযোগ ওঠে তালিকায় থাকা ১০২ জন প্রার্থী চাকরিতে যোগই দেননি। এরপরেই ফের বিচারপতির নির্দেশে প্রকাশ পায় ৪০ জন প্রার্থীর নাম। এবং এই তালিকা ঘিরেও বিপত্তি। ইতিমধ্যেই তালিকায় থাকা তিরিশ জন চাকরিপ্রার্থীর দাবি, চাকরিতে নিয়োগ না হয়েও অযোগ্য তালিকায় নাম উঠেছে তাঁদের।
এসএসসি দুর্নীতি কান্ডে সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। অভিযোগ ওঠে, বেশ কিছু ওএমআর শিটে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েও পাশ করানো হয়েছে প্রার্থীদের। এমনকি নিয়োগও পেয়েছেন তাঁরা। এরপরই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় আদালত। প্রায় দু দফায় সামনে আসে ২২৩ জন প্রার্থীর নাম। প্রথমে ১৮৩ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ পেতেই শুরু হয় জলঘোলা। তালিকায় থাকা বহু প্রার্থীর দাবি চাকরিতে যোগদানই করেননি তাঁরা, অথচ নাম বেআইনি নিয়োগের তালিকায়! প্রশ্ন ওঠে তবে কি কারচুপি এখানেও? এরপর ফের চল্লিশ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ পেতেই জারি সমস্যা। ইতিমধ্যেই অন্তত তিরিশ জন চাকরিপ্রার্থী চিঠি পাঠায় এসএসসিকে। তাঁদের দাবি আদৌ চাকরি না পেয়ে ভুয়ো নিয়োগের তালিকায় নাম উঠেছে তাঁদের।
আরও পড়ুনঃ পরীক্ষার দিন পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা নবান্নে
দ্বিতীয় দফায় প্রকাশিত হওয়া চল্লিশ জন প্রার্থীর নামের সাথে উত্তরপত্র (ওএমআর শিট)ও প্রকাশ করে কমিশন। সেখানেও ধরা পড়েছে কারচুপি। সমগ্র ঘটনা প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবীর বক্তব্য, নাম যখন সুপারিশ হয়েছিল অথচ চাকরিতে যুক্ত হননি প্রার্থীরা, তবে কি সে জায়গায় নিয়োগ পেয়েছেন অন্য কেউ? দাবি উঠছে সেদিকেও। অতএব বোঝাই যাচ্ছে সমগ্র ঘটনাটি ঘিরে ফের শুরু জল্পনা।