শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গে চারিদিক থেকে বিদ্ধ রাজ্য। এবার ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো নয়া বিতর্ক। কিছুদিন আগেই ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এবার সেই ট্যাবের টাকা নিয়েই জালিয়াতির অভিযোগ উঠলো। জানা যাচ্ছে, অ্যাকাউন্ট নম্বর বদল করে মাঝপথেই সেই পুরো টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে! সংশ্লিষ্ট ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি স্কুলগুলির তরফে আবেদনের জন্য পড়ুয়াদের নামের তালিকা পাঠানো শুরু হয় শিক্ষা দফতরের পোর্টালের মাধ্যমে। সেইমতো বাগমারির এক সরকারি বিদ্যালয় থেকে পড়ুয়াদের নাম পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, নভেম্বর মাসে অন্যান্য পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেও ওই বিদ্যালয়ের নয় জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা আসেনি। এদের মধ্যে সাত জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ফোন নম্বর বদলে গিয়েছে।
মাধ্যমিক সাজেশন 2023 pdf: Download Now
এছাড়া পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট ঘটনা এই প্রথম নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের নানা বিদ্যালয় থেকে একই অভিযোগ সামনে এসেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে তবে কি ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা নিয়ে জালিয়াতি চলছে? তদন্তকারীদের সন্দেহ, এর পিছনে জড়িত থাকতে পারে বড়ো কোনোও চক্র। আবার পাসওয়ার্ডের অ্যাক্সেস রয়েছে এমন স্কুল কর্মীরাও এতে জড়িত থাকতে পারেন। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত দিক।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরেই উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের ট্যাবলেট কেনার জন্য দশ হাজার টাকা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় রাজ্য সরকারের তরফে। সূত্রের খবর, বহু দুঃস্থ পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে তাদের হাতে ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা তুলে দেওয়ার জন্য প্রকল্পটি ভাবা হয়েছিল। তবে কেবলমাত্র তাঁদের জন্যই নয়, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল পড়ুয়াদের হাতেই রাজ্য সরকারের তরফে ট্যাব এর ক্রয় পিছু দশ হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয়েছে আগের বছরগুলিতে।
আরও পড়ুনঃ প্রাথমিকের নিয়োগে এবার মৌখিকে কারচুপির অভিযোগ
সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এবার সেই প্রকল্প নিয়েই উঠছে জালিয়াতির অভিযোগ। ইতিমধ্যেই জানা যাচ্ছে, অ্যাকাউন্ট নম্বর বদল করে প্রকল্পের টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বর্তমানে ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।