সদ্য শুরু হয়েছে ইংরেজির নতুন বছর। আর এই নতুন বছরের শুরুতে রোজগারের খোঁজে নামলেন মালদহের দুই ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর খান ও রাহুল আলি। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার ইংরেজবাজার শহরের স্টেশন রোডে কানি মোড়ে ভাড়া নিয়ে চায়ের দোকান খুলেছেন তাঁরা। সারিবদ্ধ রেস্তোরা, শাড়ির দোকানের মাঝে জ্বল জ্বল করছে তাঁদের দোকানের নামটা ‘বি.টেক.চা.ওয়ালা’!
‘বি.টেক.চা.ওয়ালার’ মালিক আলমগীর খান ও রাহুল আলি মালদহের বাসিন্দা। আলমগীর থাকেন কালিয়াচক থানা রোডে ও রাহুল থাকেন ইংরেজবাজার শহরের রেড কলোনিতে। দোকান মালিক আলমগীর ও রাহুল মালদহের গনি খানের নামাঙ্কিত কারিগরি কলেজের ছাত্র। ২০১৭ সাল নাগাদ আলমগীর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন। তারপরেই তিনি কলকাতার স্বামী বিবেকানন্দ ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে বি.টেক পাশ করেন। অন্যদিকে রাহুল ২০১৭ সালে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়লেও চায়ের দোকানের ভাবনা আনলেন তাঁরা। আর এখন সমাজ মাধ্যমে পরিচিত তাঁদের চায়ের দোকান।
চাকরির খবরঃ রামকৃষ্ণ শিক্ষা মন্দির স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ
পরিবারে আর্থিক টানাপোড়েন রয়েছেই। আলমগীরের বাবা ঢালাই মেশিন ভাড়া দিয়ে সংসার চালান। পরিবারের সদস্য সংখ্যাও পাঁচ ছাড়িয়েছে। আলমগীর পরিবারের বড়ো ছেলে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলেও চাকরি কোথায় রাজ্যে? ক্যাম্পাসিংয়ে চাকরি মিললেও গুজরাটের এক সংস্থা পনেরো হাজারের বেশি দিতে রাজি হয়নি। এদিকে চাকরির অপেক্ষায় বসে থাকলে বয়স তো থেমে থাকবে না! তাই চায়ের দোকানের পরিকল্পনা করেন আলমগীর। এদিকে দোকানের অপর মালিক রাহুল আলির বাবা মনসুর আলি পেশায় ট্যাক্সি চালক। তাই পরিবারের হাল ধরতে চায়ের দোকানের সিদ্ধান্ত নেন তিনিও। এছাড়া দোকানের পাশাপাশি তাঁরা দুজনেই চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
চাকরির খবরঃ রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মী নিয়োগ
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে চাকরির আশায় লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু চাকরি কোথায়? তাই কার্যত রুজির খোঁজেই চায়ের দোকানের সিদ্ধান্ত আলমগীর ও রাহুলের। তাঁদের বক্তব্য, একসময় চায়ের দোকানে অনেক সময় কাটিয়েছেন তাঁরা। ভালো চা বিক্রি করলে মানুষ এমনিই আসবে। একইসাথে তাঁদের বক্তব্য, আদতে কোনোও কাজই ছোটো নয়। তাই এই অভিনব প্রয়াসের নাম দিয়েছেন, ‘বি.টেক.চা.ওয়ালা’।