আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এর মধ্যে পর্ষদের দেওয়া মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার ঘিরে সৃষ্টি হওয়া ‘আজাদ কাশ্মীর’ বিতর্কে ইতি টানতে তৎপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পর্ষদ। সাথে মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার থেকে ‘আজাদ কাশ্মীর’ শব্দ বন্ধনীকে বাদ দিয়ে সংশোধন করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে।
সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া পর্ষদের টেস্ট পেপারে প্রতি বছরের মতো স্থান দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রকে। এরপরই সংশ্লিষ্ট টেস্ট পেপারে মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রশ্নপত্রে ঘিরে সৃষ্টি হয় বিতর্কের। দেখা যায়, ওই প্রশ্নপত্রে এক জায়গায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ‘আজাদ কাশ্মীর’ বলে উল্লেখ করে ভারতের মানচিত্রে সেই ‘আজাদ কাশ্মীর’ কে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। উঠে নানান রাজনৈতিক তরজাও। ঘটনা প্রসঙ্গে সরব হন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি তিনি জানান কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয় নিয়ে আলাদাভাবে তদন্ত করবে।
আরও পড়ুনঃ স্টুডেন্ড ক্রেডিট কার্ড সম্পূর্ণ আবেদন পদ্ধতি
এরপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রকে একত্রিত করে প্রস্তুত করা হয়েছিল টেস্ট পেপার। সাথে তিনি বলেন, এই ঘটনার পিছনে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পর্ষদ। ভুল সংশোধনের ব্যবস্থাও করা হবে। বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দেন মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষকও। তিনি জানান, কেবল ইতিহাসকে তুলে ধরতেই এই প্রশ্ন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ছড়ানো এখানে উদ্দেশ্য নয়।
চাকরির খবরঃ পুরুলিয়া সৈনিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ
এরপর সম্প্রতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রকাশ করা ২০২২-২৩ সালের মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারের প্রেক্ষিতে সংশোধনী জারি করা হচ্ছে। যেখানে টেস্ট পেপারের ১৩২ নম্বর পৃষ্ঠার প্রথম বিকল্পটিতে ‘আজাদ কাশ্মীর’ শব্দবন্ধনীর পরিবর্তে ‘কাশ্মীর’ বলে ধরা হবে। অর্থাৎ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সংশ্লিষ্ট শব্দ বন্ধনীকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং তার সংশোধন করা হয়েছে। একইসাথে সংশ্লিষ্ট শব্দ বন্ধনী থাকার জন্য পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।