রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মেনে রাজ্যের বহু প্রাথমিক স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণীর পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে শ্রেণীকক্ষ থাকলেও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সেখানে নেহাতই হাতে গোনা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজ্যের বহু বিদ্যালয়। রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে আগে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠন চলতো। তবে ২০১৮ সালে রাজ্য শিক্ষা দফতর নির্দেশিকায় জানায়, যে সমস্ত স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর পঠনপাঠনের পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে পঞ্চম শ্রেণীর পড়াশোনা শুরু করা হবে।
তারপর সমস্ত প্রাথমিক স্কুলেই এই ব্যবস্থা চালু করবে শিক্ষা দফতর। ক্রমে হাইস্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পঠনপাঠন বাদ দেওয়া হবে। এদিকে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বিদ্যালয়গুলিতে পঞ্চম শ্রেণীর পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হলেও সেই শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এখন প্রশ্নের মুখে। কিছু ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, পড়ুয়ার সংখ্যা নেহাতই হাতে গোনা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, পঞ্চম শ্রেণীর পঠনপাঠনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হলেও পড়ুয়া সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে অনেক অভিভাবকদের দাবি, প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনার পর ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়। কারণ অনেক বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণীর ভর্তিতে অনীহা প্রকাশ করে।
চাকরির খবরঃ মাধ্যমিক পাশে কনস্টেবল নিয়োগ
সুতরাং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অভিভাবকরা হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়াদের ভর্তি করার ক্ষেত্রেই অধিক মাত্রায় আগ্রহী। প্রাথমিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করানোর প্রবণতা সেখানে কম। অন্যদিকে বিগত বছরগুলিতে কোভিড পরিস্থিতি থাকার কারণে বিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়া সংখ্যা এমনিই কমেছে। সেই পরিস্থিতির উন্নতি এই শিক্ষাবর্ষেও হয়নি। বর্তমানে সূত্রের খবর, শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা মেনে অনেকগুলি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর পঠনপাঠন শুরু হলেও সংশ্লিষ্ট শ্রেণীতে পড়ুয়া সংখ্যা ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে।