সাত বছর আগের নম্বরের সাথে বর্তমানের নম্বরের পার্থক্য যথেষ্টই বেড়েছে। ফলে আগের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সাথে বর্তমানের টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে এক অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন এক চাকরিপ্রার্থী। বিষয়টি পর্যালোচনা করে এর আগেই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ‘মিত্র কমিটি’ গড়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, এই কমিটি যে ইতিহাস তৈরি করবে তা সারা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
মাঝের দুই দশকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার নম্বরের সাথে বর্তমানের নম্বরের একটা বিরাট ব্যবধান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে নিয়োগের নিয়ম অনুসারে অ্যাকাডেমিক স্কোরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর গুরুত্ব রাখে। অতএব নবপ্রজন্মের সাথে আগের প্রার্থীদের এই অসম প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে আদালতে দায়ের হয়েছিল মামলা। এ প্রসঙ্গে এক মামলাকারীর বক্তব্য, ২০১৪ সালের টেট পাশ তিনি। তার কিছু বছর আগে তিনি বোর্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
চাকরির খবরঃ রাজ্যের হলদিয়া বন্দরে কর্মী নিয়োগ
এখানে তাঁর দাবি, তখনকার বোর্ডের পরীক্ষার সিলেবাস, মূল্যায়ন পদ্ধতি, নম্বর প্রাপ্যতার বিচারে ২০২২ এর টেট উত্তীর্ণদের থেকে পিছিয়ে পড়বেন তাঁরা। অথচ নিয়োগ পাওয়ার প্রতিযোগিতায় ক্রমাগত লড়তে হচ্ছে তাঁদেরও। বিষয়টি (Calcutta High Court) হাইকোর্টে জানালে বিচারপতির নির্দেশে গঠিত হয় ‘মিত্র কমিটি’। সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্যতা বিচারের ক্ষেত্রে সমতা রক্ষায় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শুভময় মৈত্রের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে।
চাকরির খবরঃ সর্দার বল্লভ ভাই এয়ারপোর্টে কর্মী নিয়োগ
এক্ষেত্রে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্য ছিল, অ্যাকাডেমিক স্কোরের বিচারে বর্তমান প্রজন্মের থেকে পিছিয়ে থাকবেন তাঁরা। ফলে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা আগেই বাদ পড়ে যাবেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে চলা মামলাটিতে সমতা রক্ষার দিকটিতে নজর রাখবে কমিটি। সেই মতো ১৯৯৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সমস্ত প্রার্থীর বোর্ডের পরীক্ষার নম্বর চাওয়া হয়েছে। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে যোগ্যতার বিচার কিভাবে সম্ভব তার রিপোর্ট দেওয়া হবে।