সারা রাজ্য নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে তোলপাড়। হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। এদিকে তদন্ত প্রক্রিয়ায় তাদেরই ভূমিকা বারংবার আদালতের প্রশ্নের মুখে। সিবিআই তদন্তের ঢিলেমির কারণে প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া যে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে সে প্রসঙ্গে এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
রাজ্যের বিভিন্ন পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিস্তর দুর্নীতির হদিশ মেলে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দশম শ্রেণী, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি সর্বত্রই দুর্নীতির কালো ছায়ায় পরিপূর্ণ! পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) নিয়েও ওঠে বিস্তর জালিয়াতির অভিযোগ! কখনও সাদা খাতা তো কখনও হাতে গোনা প্রশ্নের উত্তর দিয়েই নিয়োগ পেয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। কখনও খাতার ‘০’ নম্বর তালিকায় বৃদ্ধি পেয়ে হচ্ছে ‘৫৩’। আর ঠিক এভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে বেআইনি নিয়োগের সংখ্যাও।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে রূপশ্রী প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়লো সিবিআই। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সরাসরি সিবিআই আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন, “আপনারা কবে তদন্ত শেষ করবেন”! একইসাথে বিচারপতির মন্তব্য, ‘আপনারা যখন বলছেন ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে তখন এই ঘটনার জন্য দায়ী কারা? চক্রান্তকারী কারা? তাও জানান। তাঁদের বিরুদ্ধে কি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে? জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে? কেন তাঁরা এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে! ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়ায় এত বিলম্ব হচ্ছে কেন! সিবিআই কিভাবে তদন্ত চালাবে তা আদালতকে বারবার বলে দিতে হচ্ছে, এটা ভালো দেখায় না’।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পাশে কর্মী নিয়োগ
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়ায় উদাসীনতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। সূত্রের খবর, এরপর সিবিআই আধিকারিকরা আদালতে দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনাটি একটি বিরাট পাবলিক স্ক্যাম। একটি বিরাট ষড়যন্ত্র। যেখানে একটার সাথে একটা ঘটনা পরস্পর যুক্ত হয়ে আছে। প্রসঙ্গত, এদিন বিচারপতি সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেন। কারণ এর সাথে রাজ্যের প্রচুর সংখ্যক চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যত জড়িয়ে রয়েছে।