গতকালই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নবম-দশম শ্রেণীর ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র বাতিল করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এদিকে ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই আবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা। এক্ষেত্রে তাঁদের অভিযোগ, আদালতের রায়ের আগেই সুপারিশপত্র বাতিল কেন! যেখানে এই সংক্রান্ত মামলার রায়দান আদালতে স্থগিত রাখা হয়েছে।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের জটিলতা তুঙ্গে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিবিআই জানতে পারে, ২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণীর নিয়োগ তালিকায় থাকা ৮০০ র বেশি প্রার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। এরপর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এসএসসিকে নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের বহিষ্কারে কমিশনের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে। এ বিষয়ে এসএসসি কোনোও পদক্ষেপ নিচ্ছে নাকি তা জানতে চাওয়া হলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়, অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পর্যায়ক্রমে বাতিল করা হবে। নির্দিষ্ট আইন মেনে এই সকল প্রার্থীদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করবে কমিশন।
আরও পড়ুনঃ নবম-দশমের ৬১৮ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিল!
সম্প্রতি তারই পদক্ষেপ স্বরূপ প্রথম দফায় ৬১৮ জন প্রার্থীর সুপারিশপত্র বাতিল করা হলো। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এরপর আরও প্রার্থীর চাকরি বাতিল হতে পারে। এদিকে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নবম-দশমের প্রার্থীরা। ডিভিশন বেঞ্চে সংশ্লিষ্ট মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।
চাকরির খবরঃ মাধ্যমিক পাশে কনস্টেবল নিয়োগ
এর মধ্যে এদিন মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট ৬১৮ জন শিক্ষক বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে এসএসসির উচিত ছিল আদালতের রায়দান পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, যথাসময়ে তাঁদের বক্তব্য শোনা হবে। অন্যদিকে ডিভিশন বেঞ্চের সোমবারের নির্দেশ বলছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন আদালতের কোনও নির্দেশ ভঙ্গ করেনি। প্রসঙ্গত, এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার।