রাজ্যে নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। প্রায় ৯৫২ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) বিকৃতির অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টের নির্দেশে এদের মধ্যে প্রায় ৮০৫ জন প্রার্থীর নিয়োগে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নেয় এসএসসি। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের চাকরি ধাপে ধাপে বাতিল করা হবে। এর আগে ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের কথা ওঠে। আর এবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সুপারিশপত্র বাতিল করলো স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এদিন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে নাম, রোল ও বিভাগ সহ বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ পেয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে মোট ৬১৮ জন শিক্ষকের বিবরণ। শীঘ্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করবে বলে জানা যাচ্ছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, আরও ১৮৭ জন প্রার্থীর সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তার আগে এই সকল প্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) গুলি আর একবার যাচাই করে নিতে চাইছে কমিশন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে কনষ্টেবল নিয়োগ নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত
প্রসঙ্গত, নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলাটি প্রথমে ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। এরপর তা স্থানান্তরিত হয় বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি বসুর নির্দেশ মেনে ৮০৫ জন অবৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এদিকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা। বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করলো বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এসএসসি যে ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে অবৈধ প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করেছিল তাতে হস্তক্ষেপ করতে চায়না আদালত।
চাকরির খবরঃ বর্তমানে কি কি চাকরির ফর্ম ফিলাপ চলছে দেখে নিন