বিগত দিনগুলির উর্ধ্বমুখী তাপমাত্রায় কার্যত নাজেহাল অবস্থা ছিল রাজ্যবাসীর। দিনের বেলায় প্রবল উত্তাপ সাথে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। জনশূন্য রাস্তাঘাটে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বেরোনোর সাহস দেখায়নি মানুষজন। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাত দিনের অস্থায়ী ছুটির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সম্প্রতি স্বস্তির বৃষ্টিপাতে হাঁসফাঁস অবস্থা কাটিয়ে সেরে উঠেছে রাজ্য। পরিস্থিতি কিছুটা ঠিক হওয়ায় খুলে গেল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।
তীব্র গরমের কারণে এতদিন ঘরবন্দি ছিলেন পড়ুয়ারা। বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছিল অনলাইনে ক্লাস। গত রবিবার রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি (দার্জিলিং ও কালিম্পং ছাড়া) সর্বত্র বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এও বলা হয়, আগামী বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধই থাকবে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এদিকে শনিবার পর্যন্ত শিক্ষা দফতরের তরফে নতুন করে কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় বিভ্রান্তিতে পড়েন পড়ুয়ারা। তবে এদিন সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুল, কলেজগুলির পঠনপাঠন চালু হতে বোঝা যাচ্ছে, গরমের অস্থায়ী ছুটি আর বৃদ্ধি পাচ্ছে না। চেনা ছন্দে ফিরছে পশ্চিমবঙ্গ।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎ দপ্তরের উচ্চমাধ্যমিক পাশে কর্মী নিয়োগ
প্রসঙ্গত, সাতদিনের অনলাইন ক্লাসে প্র্যাকটিকাল সহ হাতে কলমে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটেছে পড়ুয়াদের। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয়নি অনলাইনে ক্লাস। ফলে সিলেবাসের দিক থেকে কার্যত পিছিয়ে পড়েছেন পড়ুয়ারা। বেশ কিছু স্কুলে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষা এখনও শেষ হয়নি। এদিকে, গরমের পরিস্থিতি বিচার করে এগিয়ে এসেছে গ্রীষ্মাবকাশ। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ২মে থেকে পড়ে যাবে গরমের ছুটি। হাতে মাত্র কয়েকদিন। তারপরই সম্ভবত ফের ছুটি পড়তে চলেছে রাজ্যে। তাই দ্রুত সিলেবাস শেষের চেষ্টায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।