রাজ্যের পৌরসভাগুলির নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির হদিশ মেলে। অভিযোগ ওঠে, টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন অযোগ্য প্রার্থীরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির হদিশ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এরপর গত শুক্রবার, ২১শে এপ্রিল পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের বাড়ি থেকে প্রচুর নথি উদ্ধার করে ইডি। অভিযোগ, পুরসভায় চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। ইডির দাবি, সারা রাজ্যের প্রায় ৬০টি পুরসভায় ২০০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মিলতে গত ২২শে এপ্রিল নতুন করে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এদিকে, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
আরও পড়ুনঃ বাদ পড়লেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
সুপ্রিম কোর্টে সরকার দাবি করে, হাইকোর্টের নির্দেশ একতরফা। সরকারকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। শীর্ষ আদালতের তরফে সেই আবেদন গৃহীত হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুক্রবার ছিল এই মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের যুক্তি, সিবিআই রাজ্যকে আলাদা করে কোনো নোটিশ দেয়নি। নোটিশ না মেলায় বক্তব্য জানানোর সুযোগ পায়নি রাজ্য। তবে এই যুক্তির পরই রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, “সিবিআই তদন্ত চালিয়ে গেলে তিনদিনের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ নিতেই পারে।” তাই তদন্ত স্থগিত রাখার আর্জি জানায় রাজ্য। উভয় পক্ষের সওয়াল জবাবের পরে শীর্ষ আদালতের তরফে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর সাতদিনের স্থগিতাদেশ বজায় রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তিন দিনের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন জমা করতে হবে রাজ্য সরকারকে।