চলছে প্রাথমিকের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। বিভিন্ন দফায় চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিচ্ছে পর্ষদ। এর মধ্যে ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ। আর সেই ইন্টারভিউতেই ঘটলো ঘটনাটি। সূত্রের খবর, এদিন ভুয়ো ডি.এল.এড সার্টিফিকেট নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন প্রাথমিকের এক চাকরিপ্রার্থী। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা তাঁকে তুলে দিয়েছেন পুলিশের হাতে।
সূত্রের খবর, ধৃতের নাম বাপ্পা দেবনাথ। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরালডাঙ্গার বাসিন্দা তিনি। এদিন সেকেন্ড হাফে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন তিনি। ইন্টারভিউর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা তাঁর ডকুমেন্ট দেখতে চাইলে ভুয়ো ডি.এল.এড সার্টিফিকেটটি দেখান তিনি। বিষয়টি তখনই ধরে ফেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা। তাঁকে ইন্টারভিউ দিতে দেওয়া হয় না। ধৃত চাকরিপ্রার্থীকে বিধাননগর পূর্ব থানার হাতে তুলে দিয়েছেন পর্ষদের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পাশে FTII -তে চাকরি
পর্ষদের আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃতের দাবি, সংশ্লিষ্ট ডি.এল.এড সার্টিফিকেটটি ২০১৬ সালে রেজিস্ট্রেশন করা। এদিকে পর্ষদের তরফে খতিয়ে দেখতে বোঝা যায়, ২০১৬ সালে ওই নম্বরের কোনো রেজিস্ট্রেশনের অস্তিত্ব নেই। এছাড়া সার্টিফিকেটটি ল্যামিনেশন করা ও রং আলাদা। ধৃত প্রার্থীর দাবি করেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেনুকা প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে ডি.এল.এড করেছিলেন তিনি। পর্ষদের আধিকারিকদের দাবি, এই প্রার্থীর অ্যাডমিট ও সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সবটাই ভুয়ো।