প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিস্তর দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। ২০১৪ প্রাইমারি টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে যে ইন্টারভিউ আয়োজিত হয়েছিল, সেখানে কারচুপি হয়েছে বলে জানা যায়। আর এবার প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ, ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সকল তথ্য আদালতে জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বুধবার বিচারপতির নির্দেশ, ২০১৬ সালের ইন্টারভিউর মাধ্যমে যে সকল প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের নাম, ফোন নম্বর, স্কুলের নাম, জাতি ইত্যাদি তথ্যসমুহ জমা দিতে হবে। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কাট অফ মার্কসও চেয়েছেন বিচারপতি। মেধাতালিকায় থাকা প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য তলব করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের থেকে।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় খনি দপ্তরে কর্মী নিয়োগ
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৫০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা যায়। অভিযোগ ছিল, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সকল অভিযোগ বিবেচনা করে এবার কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৬ সালের শেষ প্রকাশিত প্যানেলে নাম থাকা প্রার্থীদের তালিকা ও তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি।