হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষক, শিক্ষিকাদের। বিচারপতির নির্দেশ, এই প্রার্থীরা তাঁদের চাকরি ফেরত পেতে পারেন দুটি শর্তে। এক, তাঁদের এই সময়কালের মধ্যে শিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করে থাকতে হবে। আর দুই, তাঁদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে বিচারপতির নির্দেশের বিরুদ্ধে আন্দোলন, বিক্ষোভ চলছে রাজ্য জুড়ে। এঁদের মধ্যে অনেকে শনিবার সকালে সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে পৌছে যান।
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, প্রাইমারি টেটের ইন্টারভিউতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। সেই দাবিকেও অস্বীকার করেছেন চাকরিহারারা। সূত্রের খবর, শনিবার পর্ষদের অফিসে বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়ে আসার পর চাকরিহারাদের বক্তব্য, আমাদের কল লেটারই অ্যাপটিটিউড টেস্টের প্রমাণ। এর সাথে তাঁদের কথায়, বোর্ড-চকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট না হলেও অন্যভাবে তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ইন্টারভিউয়াররা কিভাবে পরীক্ষা নেবেন সেটা তাঁদের দেখার বিষয় নয়।
আরও পড়ুনঃ ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ
চাকরিহারাদের একটা অংশ পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের সঙ্গে কথা বলে জানান, “পর্ষদ শিক্ষকদের পাশেই থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। প্রয়োজনে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। এদিন চাকরিহারাদের দাবি, পর্ষদের তরফে যতক্ষণ না কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে, চাকরি বাতিলের কথা মানতে নারাজ তাঁরা। প্রসঙ্গত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, এই শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলেও তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন। আগামী চার মাস পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে কাজ করতে হবে তাঁদের।