শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতির জেরে চাকরি পেয়েছেন অযোগ্য প্রার্থীরা। মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি পেয়েছিলেন বেআইনি পথে। ঘটনাটি আদালতে খোলসা করেন চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার। দোষী সাব্যস্ত হন অঙ্কিতা অধিকারী। আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় তাঁর। আর এবার সেই ববিতা সরকারের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
ঠিক কী ঘটেছে? কিছুদিন আগে ববিতা সরকারের চাকরি বাতিলের দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন অনামিকা রায় নামক আর এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, এসএসসির আবেদন জানানোর সময় ববিতা সরকারের স্নাতকোত্তরের নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। স্নাতক স্তরে ৮০০ তে ৪৪০ নম্বর পাওয়া ববিতা সরকারের শতাংশে নম্বর হয় ৫৫ শতাংশ। এদিকে ভুল অ্যাকাডেমিক স্কোর গণনায় তা দেখানো হয়েছে ৬০ শতাংশ। যার দরুণ অ্যাকাডেমিক স্কোরে এগিয়ে গিয়েছেন ববিতা।
আরও পড়ুনঃ বাতিল হবে না ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি
এই বিষয়টি সামনে রেখে আদালতের দ্বারস্থ হন অনামিকা। তাঁর দাবি, ববিতা র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে গেলে পরবর্তী চাকরিপ্রার্থী হিসেবে নাম উঠে আসবে তাঁর। অর্থাৎ চাকরির দাবিদার তিনিই। এর আগে বিচারপতি অঙ্কিতা অধিকারীর বেতনের টাকা, যা ববিতাকে দেওয়া হয়েছিল তা আলাদা করে সরিয়ে রাখার নির্দেশ দেন। এরপর এদিন মঙ্গলবার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে দিলেন বিচারপতি। এদিন বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ববিতা সরকারের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন। পরবর্তী দাবিদার অনামিকা রায় এই চাকরিটি পাবেন বলেও নির্দেশ দিলেন তিনি।