শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে যখন জর্জরিত রাজ্য সরকার ঠিক তখনই এবার পুরসভা নিয়োগের দুর্নীতির খোঁজে তদন্তের গতি বাড়াচ্ছে ইডি (Enforcement Directorate)। সম্প্রতি পৌরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে রাজ্যের দুই দপ্তরকে চিঠি পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। উল্লেখ্য, এই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, গত ৮ বছরে রাজ্যের পুরসভাগুলিতে কীভাবে হয়েছে নিয়োগ? কোন আধিকারিকরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছেন? সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের দুটি দপ্তর থেকে নির্দিষ্ট তথ্য পেলে সেই তথ্য অয়ন শীলের অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে পুরসভা নিয়োগে দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। সেই তদন্তের আওতায় এবার রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন এবং মিউনিসিপাল সার্ভিস কমিশনকে চিঠি পাঠালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই চিঠিতে নির্দিষ্ট ভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে, ২০১৬ সালের পর থেকে রাজ্যের পুরসভাগুলিতে কোন পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়েছে? কোন কোন আধিকারিক বা প্রভাবশালী ব্যক্তি এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন? টেন্ডারের মাধ্যমে কোন সংস্থাকে নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল? এই সময়কালের মধ্যে কারা চাকরি পেয়েছেন? সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট দপ্তর থেকে রিপোর্ট পেলে সেই রিপোর্ট অয়ন শীলের ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া নথিপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে বেশ কয়েকদিন আগে চিঠি দেওয়া হলেও রাজ্য সরকারের দপ্তর থেকে এখনো কোনো উত্তর মেলেনি বলেই খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুনঃ ২০১৬ সালের প্রাইমারি রিক্রুটমেন্টের তালিকা প্রকাশ্যে আনলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
ইডির দাবি, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে পুরসভার নিয়োগের দুর্নীতির হদিশ পায় তারা। অর্থের বিনিময়ে কয়েক হাজার চাকরি বিক্রি করা হয়েছে পুরসভাগুলিতে। তদন্তে জানা যায় রাজ্যের প্রায় সব পুরসভাতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজেনর মাধ্যমে চাকরি হয়েছে অযোগ্য প্রার্থীদের। সেই দুর্নীতির রহস্য উদঘাটন করতে জোর কদমে তদন্ত শুরু করেছে তারা। এদিকে এই তদন্তের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার, কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। আদালতের নির্দেশে এবার তদন্তের গতি বাড়াতে রাজ্যের দুই দপ্তরের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠালো ইডি।