শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দশমের দুর্নীতির পর্দাফাঁস এখনও বাকি। আদালতে বিচারাধীন বহু মামলা। সম্প্রতি নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এমন এক তথ্য সামনে এল যার পর্যবেক্ষণে বিস্মিত খোদ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
শুক্রবার বিচারপতি বসুর এজলাসে ছিল নবম-দশমের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) দাবি করে নবম-দশমের বহু শিক্ষক নিয়োগপত্র ছাড়াই যোগ দিয়েছিলেন চাকরিতে! মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দপ্তরে পড়ে রয়েছে এমনই ৬৭ টি অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার! নিয়োগ দুর্নীতির নয়া অধ্যায় সামনে আসতে অবাক বিচারপতি বসু।
আরও পড়ুনঃ ইউপিএসসি সফল হয়ে স্বপ্ন পূরণ বঙ্গকন্যা দিয়ার
এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানায়, নবম-দশমের চাকরির জন্য ২০২০ সালে ১৮৬ টি নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। কিন্তু পর্ষদের দাবি, সংখ্যাটা ১৮৬ নয় বরং ১৭৫। এর মধ্যে ৬৭ জন সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরিতে যোগ দেন। আর ৫২ টি সুপারিশপত্রের কোনোও হার্ড কপি নেই। সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণের পর বিচারপতির বক্তব্য, ‘সিবিআই তদন্তে নতুন রসদ জোগাতে পারে এমন বিস্ময়কর তথ্য। সিবিআই অবস্থান জানাক হাইকোর্টে’।