বসতি রাজ্যের এক প্রত্যন্ত এলাকায়। সে এলাকায় না আছে নামজাদা স্কুল, না আছে উন্নত পঠনপাঠন ব্যবস্থা। এমনকি পড়াশোনার জন্য নেই একটা ভালো লাইব্রেরিও। এর সঙ্গে রয়েছে পারিবারিক অনটন, পরিশ্রমের জীবনযাত্রা। কিন্তু সকল প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়েই নজরকাড়া সাফল্য আনলেন সুন্দরবনের মেয়ে সুমনা মাইতি।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ জেলার সন্দেশখালির রাজবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সুমনা মাইতি। চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিকে আগারহাটি গৌরহরি বিদ্যাপীঠ (উঃ মাঃ) স্কুল থেকে পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। সমস্ত কঠিন পরিস্থিতি সামলে নিজের চেষ্টায় পড়াশোনা করেন সুমনা। স্বপ্ন ছিল উচ্চমাধ্যমিকের ভালো রেজাল্ট। কথা মতোই কাজে করে দেখালেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিকে সুমনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৩। যা শতাংশের বিচারে ৯২.৫ শতাংশ। এর মধ্যে পছন্দের বিষয় ইংরেজিতে সুমনা পেয়েছেন ৯৫, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৫ এবং ইতিহাস ও ভূগোলে ৯৩ করে নম্বর পেয়েছেন তিনি। মেয়ের রেজাল্ট দেখে অত্যন্ত খুশি তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুনঃ বাইশ বছর বয়সেই ইউপিএসসি উত্তীর্ণ হয়ে নজির গড়লেন যুবক
একতলা ছোট বাড়িতে বাস সুমনার। ইঁটের গাঁথুনি মাথায় টালির চাল। সুমনার বাবা রত্নাকর মাইতির রাজবাড়ি বাজারে একটি মুড়ি ঘুঘনির দোকান। সেই দোকানের উপার্জনেই কোনোরকমে সংসার চলে তাঁদের। আগামী দিনে মেয়ের পড়াশোনার খরচ কিভাবে জোগাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় মাইতি পরিবার। এদিকে লক্ষ্য স্থির সুমনার। আর্থিক অনটন কাটিয়েই উচ্চশিক্ষায় অংশ নেবেন তিনি। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়ে প্রফেসর হবেন সুমনা। তার প্রস্তুতি শুরু হবে এখন থেকেই।
আরও পড়ুনঃ সংসার সামলে আইএএস অফিসার বি চন্দ্রকলা