প্রায় দেড় মাসের ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে খুলেছে স্কুল। এদিকে গরমের অস্বস্তি না কাটায় ঘামতে ঘামতেই স্কুলে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। একটানা গরমের ছুটিতে হয়নি পঠনপাঠন। আর তাই কার্যত পাহাড় প্রমাণ সিলেবাসের চাপে কালঘাম ছুটছে পড়ুয়াদের। শিক্ষা দফতর নির্দেশ দেয়, অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে দ্রুত শেষ করতে হবে সিলেবাস। কথা চলছিল, শনিবারের হাফছুটির বদলে ফুল স্কুল হবে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে।
এগিয়ে আসছে দ্বিতীয় সেমেটিভ পরীক্ষা। শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, অগাস্টের শুরুতেই পরীক্ষা নিতে হবে স্কুলগুলিতে। পাশাপাশি, লোকসভা ভোটের কারণে আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এগিয়ে আসায় প্রিটেস্ট ও টেস্ট পরীক্ষাও এগিয়ে আসবে। এমতাবস্থায় দ্রুত অধ্যায়ের পাঠ শেষ করা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন শিক্ষক মহল। অতিরিক্ত ক্লাসের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছেন তাঁরা। সাধারণত সরকারি ও সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুলগুলিতে শনিবার করে হাফছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে সিলেবাস শেষের তাগিদে শনিবার করেও পুরোদমে ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে এর আগে আলোচনা চলছিল। সূত্রের খবর, এবার সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শীঘ্রই স্কুলগুলি এ বিষয়ে জানাবে পড়ুয়াদের।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের আবারও গরমের ছুটি বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, এমনিতেই এতদিনের গরমের ছুটি চলেছে। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের কারণে আবারও ব্যাঘাত ঘটবে পড়াশোনার। তাই গরম থাকলেও ফের ছুটি দেওয়ার বিরোধিতা করছেন শিক্ষক মহল। তাঁদের দাবি, প্রয়োজনে মর্নিং স্কুল হোক কিন্তু তাও ছুটি না পড়ুক। কারণ আরও ছুটি চললে অতিরিক্ত চাপ পড়বে ছাত্রছাত্রীদের উপর।