দেশের পড়ুয়ারা যাতে সুষ্ঠুভাবে ও নিরাপদে নিজেদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলিতে পড়ুয়ারা স্কলারশিপের সুবিধা পান। যার দরুণ তাঁরা নিশ্চিন্তভাবে উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আওতায় মেয়েদের জন্ম থেকে শিক্ষা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে কেন্দ্র। এছাড়াও আরও একটি প্রকল্প রয়েছে যেখানে কন্যা সন্তানরা কেন্দ্রের তরফে আর্থিক সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পের নাম ‘বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা’। আজকের প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হলো।
বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা প্রকল্প
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে শিশুর জন্ম থেকে শিক্ষা পর্যন্ত বার্ষিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। শিশুর জন্ম হলে প্রথমে পাঁচশো টাকা তুলে দেওয়া হয় মায়ের হাতে। এরপর বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থ প্রদান করে কেন্দ্রীয় সরকার। একমাত্র শহর বা গ্রামে অবস্থিত বিপিএল পরিবারগুলি এই প্রকল্পের সুবিধা পান। প্রত্যেক পরিবারের সর্বাধিক দুই জন কন্যা সন্তানকে এই সুবিধা দেওয়া হয়। গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে শিশু উন্নয়ন পরিষেবা আর শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা এই প্রকল্পটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিক পাশে সেরা স্কলারশিপ
আবেদন পদ্ধতি- এই প্রকল্পে অফলাইন ও অনলাইন দুই ভাবেই আবেদন করা যায়। অফলাইনে আবেদন করতে চাইলে যে কোনো অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর থেকে অথবা স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে গিয়ে ফর্ম নিয়ে সেটি সঠিক ভাবে ফিল আপ করে জমা করতে হবে। আর অনলাইনে আবেদন করতে চাইলে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে তা সঠিকভাবে পূরণ করে, ডকুমেন্ট আপলোড করে আবেদনপত্রটি সাবমিট করতে হবে। উল্লেখ্য, গ্রাম ও শহরের সুবিধাভোগীদের জন্য ফর্ম আলাদা।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস– ‘বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা’ প্রকল্পে আবেদন করতে হলে যে যে ডকুমেন্টগুলি প্রয়োজন, সেগুলি হল-
- শিশু কন্যার বার্থ সার্টিফিকেট
- মা-বাবার আবাসস্থলের প্রমাণপত্র (Domicile of parents)
- মা-বাবা অথবা কোনো আত্মীয়ের পরিচয়পত্র
- আইডি প্রুফের জন্য আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুক। এছাড়া, আরও কোনো
- ডকুমেন্ট প্রয়োজন হলে তা উল্লেখ করা থাকবে।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পাশে সেরা স্কলারশিপ
স্কলারশিপের টাকার পরিমাণ– ‘বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা’ প্রকল্পে শিশুকন্যাদের বার্ষিক বৃত্তি প্রদান করা হয়। শ্রেণী উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গে বৃত্তির পরিমাণও বাড়তে থাকে। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি শ্রেণীতে মেলে বার্ষিক ৩০০ টাকার আর্থিক সুবিধা। চতুর্থ শ্রেণীতে মেলে ৫০০ টাকা, পঞ্চম শ্রেণীতে মেলে ৬০০ টাকা, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে মেলে ৭০০ টাকা, অষ্টম শ্রেণীতে মেলে ৮০০ টাকার আর্থিক সুবিধা। এছাড়া, নবম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১০০০ টাকার আর্থিক সাহায্য পান পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের বিষয়ে আরও জানতে চাইলে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত দেখে আসতে পারেন।