মাত্র সাত বছরের জার্নি! ২০১৬ সালে ভারতের বাজারে আসে ২০০০ টাকার নোট (2000 Rupees Note)। আর ২০২৩ -এ পা রেখেই ফিরে যেতে হচ্ছে তাকে। কিন্তু কেন এই ‘হঠাৎ’ সিদ্ধান্ত? কেনই বা তুলে নেওয়া হল ২ হাজার টাকার নোট? নিছক খামখেয়ালিপনা নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনো বড়সড় অর্থনৈতিক কারণ? এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো আজকের প্রতিবেদনে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের আসল কারণ কী?
২০০০ টাকার নোট কেন বাতিল করলো RBI
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে নোটবন্দীর ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘোষণা করা হয়, তৎকালীন প্রচলিত পাঁচশো ও হাজার টাকার নোট ব্যান করা হচ্ছে। নোটবন্দীর খবরে কার্যত ঘুম উড়ে যায় ভারতবাসীর। ব্যাঙ্কের সামনে বিরাট লাইন, চলে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বদলানোর প্রক্রিয়া। এদিকে, নোটবন্দীর চাপ পড়ে দেশীয় অর্থনীতিতে। সেই চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য বাজারে নিয়ে আসা হয় ২০০০ টাকার নতুন নোট।
আরও পড়ুনঃ 75 টাকার মুদ্রা নিয়ে অজানা তথ্য জেনে নিন
কেন বাতিল করা হল ২০০০ টাকার নোট? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) -এর তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ২০০০ টাকার নোট চালু করার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল। আর সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে। পাশাপাশি, ২০০০ টাকার নোটের সর্বোচ্চ সংখ্যা ৬ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার থেকে থেমে ৩ লাখ ২ হাজার কোটি টাকাতে নেমে এসেছে। ২০১৮- ১৯ সাল থেকেই দুই হাজার টাকার নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এই নোটগুলির লাইফ সার্কেল এখন প্রায় শেষের পর্যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ধারণা, ভারতে নিত্য প্রয়োজনীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকার নোটের চাহিদা কম। তাই এটি বন্ধ হলে লেনদেনের সমস্যা কম হতে পারে। আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, এটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কারেন্সি অপারেশনের একটা অংশ। আরবিআই দীর্ঘদিন একটি ক্লিন নোট পলিসি মেনে এসেছে। একটি নির্দিষ্ট সিরিজের নোট প্রত্যাহার করা হয় ও নতুন নোট জারি করা হয়।
জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আরবিআই গভর্নর জানিয়েছেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে নোট বদল হবে। অতএব দোকানদাররা ২ হাজারের নোট নিতে অস্বীকার করতে পারবেন না। তাই তাড়াহুড়োর প্রয়োজন নেই। গ্রাহকরা সময়ের মধ্যে ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে আসতে পারবেন নোটগুলি।