স্কুলের নিয়মকানুনের প্রতি আরও কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার। এর আগেই জানানো হয়েছিল, গরমের ছুটির পর স্কুল খুললে পঠনপাঠনে জোর দিতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কত দ্রুত সিলেবাস শেষ করে রিভিশান দেওয়া যায় সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করে উপযুক্ত পন্থা নেবেন শিক্ষকেরা। পাশাপাশি, অতিরিক্ত সময় নষ্ট করা যাবে না বলেও স্কুলে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর এবার সরকারের তরফে নির্দেশ, নিয়ম না মানলে বেতন কাটা যাবে শিক্ষকদের।
প্রায় দেড় মাসের গরমের ছুটি কাটিয়ে সম্প্রতি স্কুল, কলেজ খুলেছে পশ্চিমবঙ্গে। সকাল হতেই স্কুলের পথে রওনা হচ্ছেন পড়ুয়ারা। স্কুল চালু হতে বহু পড়ুয়া অভিযোগ করেছেন, তাঁরা স্কুলে উপস্থিত হলেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসছেন না ক্লাসে। ফলে এই অফ পিরিয়ডগুলিতে সময় নষ্ট হচ্ছে তাঁদের। এছাড়া শিক্ষকদের দেরী করে ক্লাসে আসা, ক্লাস চলাকালীন মোবাইলের ব্যবহার ইত্যাদির ফলে সিলেবাস কমপ্লিটে বারংবার গ্যাপ তৈরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। দেরিতে ক্লাস শুরু হওয়ার ফলে যতটা দ্রুতগতিতে সিলেবাস এগোনো হয়, তার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন ছাত্র- ছাত্রীরা। আর এই সকল অভিযোগ নতুন নয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বহু ছাত্র- ছাত্রী সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন আগেই।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে শিক্ষকদের বকেয়া টাকা মেটানোর নির্দেশ
এবার এই সকল সমস্যার সমাধানে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। স্কুল খুলতেই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য আনা হচ্ছে কড়া আইন। শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া যখন তখন স্কুলের বাইরে বেরোতে পারবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এছাড়া, ক্লাসরুমে ব্যবহার করা যাবে না মোবাইল। পড়ুয়ারা যাতে পড়াশোনা জনিত সমস্যার সম্মুখীন না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত পরিকল্পনা নিয়ে তার রূপায়ণ করার দায়িত্ব থাকবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর। আর শিক্ষক-শিক্ষিকারা যদি আইন না মানেন সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও স্কুল শিক্ষার বিষয়ে কড়া আইন চালু করতে চলেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার।
আরও পড়ুনঃ আবারও রাজ্যের স্কুল ছুটির ঘোষণা করলো নবান্ন