এক দুই বছর নয়, টানা এগারো বছর ধরে স্কুলে গরহাজির ঘোষপুর শ্রীনেহেরু হাইস্কুলের শিক্ষিকা। তা সত্ত্বেও কোনো সরাসরি নির্দেশ আসেনি বোর্ডের তরফে। এরপর ঘটনাটি নিয়ে মামলা হয় আদালতে। সোমবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি মান্থার এজলাসে। গোটা ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করে কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। অবিলম্বে স্কুল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হল ওই শিক্ষিকাকে। পাশাপাশি, দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে বোর্ডও।
ঠিক কী ঘটেছিল? সূত্রের খবর, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের পর হঠাৎই স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন ঘোষপুর শ্রীনেহেরু হাইস্কুলের এক শিক্ষিকা। তাঁর এহেন আচরণের কারণে মামলা হয় আদালতে। সংশ্লিষ্ট মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দেন, অবিলম্বে স্কুলে যেতে হবে ওই শিক্ষিকাকে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে স্কুলে যাননি তিনি। এরপর ২০২২ সালে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন স্কুল ও বোর্ড সভাপতি। ওই মামলায় শিক্ষিকাকে স্কুল ছাড়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্কুল ছাড়েননি তিনি।
আরও পড়ুনঃ বর্তমানে কি কি চাকরির ফর্ম ফিল চলছে দেখে নিন
পরবর্তীতে মামলাটি আসে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। সব শুনে বোর্ডকে তীব্র তিরস্কার করেন বিচারপতি। তাঁর কথায়, অনায়াসেই ওই শিক্ষিকার জায়গায় অন্য একজনকে নিয়ে আসা যেত। এই সকল জটিলতার মাঝে পড়ে আসল ক্ষতি হল পড়ুয়াদের। তিনি বলেন, “একজন শিক্ষিকা ১১ বছর ধরে স্কুলে আসছেন না। অথচ তাঁকে পদত্যাগ করতে বলারও ক্ষমতা নেই বোর্ডের।” বর্তমানে ওই শিক্ষিকাকে স্কুল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।