বেশ কিছু সর্বভারতীয় পরীক্ষাকে আঞ্চলিক ভাষায় আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেমন মাল্টি টাস্কিং স্টাফ (MTS), কম্বাইন্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল এক্সামিনেশন (CHSL) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা দিতে পারবেন। মনে করা হচ্ছে এর ফলে পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ যেমন বাড়বে, তেমনই মাতৃভাষায় পরীক্ষা হলে ভালো ফল করার সম্ভাবনা বাড়বে। তবে সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাটি আঞ্চলিক ভাষায় আয়োজন করা সম্ভব নয়।
দ্য কনসোর্টিয়াম অফ ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির তরফে দিল্লি হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে, কমন ল অ্যাডমিশন টেস্ট ২০২৪ (CLAT) পরীক্ষাটি হিন্দি বা অন্য কোনও আঞ্চলিক ভাষায় নেওয়া কার্যত অসম্ভব। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে হলফনামা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল আদালতে। সেই মামলার মামলাকারীর দাবি ছিল, CLAT ২০২৪ পরীক্ষাটি হিন্দি-সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় আয়োজন করা হোক। এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় ও রিপোর্ট জোগাড় করা হয়।
আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে লাগবে আধার কার্ড
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি (NLU) বিশেষজ্ঞ কমিটির থেকে মতামত নেয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির বক্তব্য, ২০০৮ সালে কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার রুল অফ লিগাল এডুকেশন ইংরেজিকে একপ্রকার বাধ্যতামূলক মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছে। আর এনএলইউ-তে পড়াশোনার মাধ্যম হল ইংরেজি। সাধারণত কোর্টের ভাষা হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া হয় ইংরেজিকে। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের পেশাগত ক্ষেত্রে ইংরেজি জানাটা দরকার। সম্প্রতি, দ্য কনসোর্টিয়াম অফ ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, ‘CLAT ২০২৪’ পরীক্ষাটি আয়োজিত হবে ডিসেম্বর মাসে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নির্মাণ-সহ অন্যান্য কাজ শুরু হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি থেকে। যা এখন শেষের মুখে। ফলে পরীক্ষাটি আঞ্চলিক ভাষায় হবে এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া এখন কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন তাঁরা।