কেন্দ্রের শিক্ষানীতির বিপরীতে হেঁটে রাজ্যের নিজস্ব শিক্ষানীতি অনুমোদিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই শিক্ষানীতি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিল রাজ্য। সোমবার সেই কমিটির তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় যেমন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বদল আনা হয়েছে, তেমনই বহু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ হয়েছে। গত সোমবার মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তে অনুমোদন পেয়েছে ‘রাজ্যের শিক্ষানীতি’। সেখানে স্কুল স্তরে সেমিস্টার সিস্টেম চালু করা থেকে শিক্ষা কমিশন গঠন এমনকি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে বদল আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সূত্রের খবর, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে আসতে চলেছে বড়সড় বদল। হতে পারে এক নতুন ধরণের প্রশ্নে এবার থেকে পরীক্ষা দেবেন ছাত্রছাত্রীরা। সাধারণত এতদিন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নে পার্ট ওয়ানে থাকত এমসিকিউ বা মাল্টিপল চয়েস ভিত্তিক প্রশ্ন। আর পার্ট টু তে থাকত বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন। তবে রাজ্যের নয়া শিক্ষানীতিতে স্থির করা হয়েছে, এবার থেকে মাল্টিপল চয়েস ভিত্তিক প্রশ্নের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার সুবিধার্থে এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নয়া শিক্ষানীতি বলছে, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হবে ৪+৪+২+২ নীতিতে। অন্যদিকে জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবনায় মাধ্যমিক পরীক্ষা তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত এলেও পশ্চিমবঙ্গে তা মানা।হচ্ছে না। অর্থাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষা চালু থাকছে রাজ্যে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস পরিবর্তন
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে গিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী থেকেই সেমিস্টার সিস্টেম আনতে চাইছে রাজ্য। এর ফলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। রাজ্য সরকারের ইঙ্গিত, একাদশ শ্রেণীতে দুটি ও দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি মোট চারটি সেমিস্টারে ভাগ হবে উচ্চমাধ্যমিক। নম্বর দেওয়া হবে তার ভিত্তিতেই। তবে গোটা ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বক্তব্য,কেন্দ্রের।দেখানো পথে হেঁটে নয় বরং ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।