পশ্চিমবঙ্গের জনগণের উন্নতি স্বার্থে একাধিক প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার অগ্রগতি, ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে ঋণদান, চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাহায্য-সহ রয়েছে বেশ কিছু সমাজ উন্নয়নকারী প্রকল্প। এছাড়া মহিলাদের জন্য রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ছাত্রীদের জন্য রয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা। অনগ্রসর শ্রেণীর পড়ুয়াদের স্বার্থে চালু রয়েছে বেশ কিছু স্কলারশিপ। তবে এসব ছাড়াও রাজ্যের নির্দিষ্ট পেশার জনগণের জন্য সাহায্যকারী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে ১০ হাজার টাকার অর্থ সাহায্য করা হবে নাগরিকদের।
কারা পাবেন এই প্রকল্পের সুবিধা?
রাজ্য সরকারের তরফে চালু হওয়া এই প্রকল্পের নাম ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্প’। পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র ও দুঃস্থ কৃষকদের জন্য চালু হয়েছে প্রকল্পটি। এই প্রকল্পে মোট ১০ হাজার টাকার অনুদান পাওয়া যায় সঙ্গে থাকে জীবন বিমার সুবিধাও। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারেন কৃষক জনগণ। কিভাবে আবেদন করতে হবে, আর কী কী ডকুমেন্টস লাগবে আসুন জেনে জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকা পাবেন রাজ্যের পড়ুয়ারা
আবেদনের শর্ত সমূহ
রাজ্য সরকারের ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য একজন কৃষকের চাষযোগ্য জমি থাকতে হবে ও জমির পড়চা থাকতে হবে। এটি কৃষকের পাট্টা জমি, নিজের জমি অথবা বর্গাদার জমি হলেও চলবে। কৃষককে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। তাঁর বয়সসীমা হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, কৃষকের নিজস্ব সিঙ্গল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে কৃষকদের লাগবে- ১) আধার কার্ড ২) ভোটার কার্ড ৩) জমির পর্চা ৪) নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ৫) ফটো। এছাড়া, কৃষক যদি অন্য কারোর থেকে জমিটি কিনে থাকেন তবে বা জমিটি যদি দানপত্রে লাভ হয়ে থাকে, তবে বিক্রেতা ব্যক্তির এপিক নম্বরটি লাগবে আবেদন করার সময়।
আবেদন পদ্ধতি
সাধারণত বছরে দুবার রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র কৃষকদের অনুদান প্রদান করে থাকেন। প্রকল্পের আবেদন জানানোর জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অথবা বিডিও অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস-সহ তা ফিল আপ করে জমা দিতে হবে।