জীবনে সফল হতে গেলে অনেক কিছু ত্যাগ করেই এগিয়ে চলতে হয়। মনে থাকতে হয় জেদ আর দু চোখে স্বপ্ন। এই সফলতার সূত্র একমাত্র পরিশ্রম। পরিশ্রম করলে একদিন না একদিন ফল মিলবেই। একথা ফের একবার সকলকে মনে করালেন আইএএস (IAS) অফিসার স্রুষ্টি দেশমুখ। প্রথম বার ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়েই আইএএস (IAS) অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এখন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল তাঁর সফলতার কাহিনী।
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)-এর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেশের কঠিনতম পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হয়। বছরের পর বছর ধরে বার বার পরীক্ষা দিয়ে তবেই উত্তীর্ণ হতে পারেন পরীক্ষার্থীরা। সেই পরীক্ষায় কিনা এক চান্সে পাশ! আইএএস স্রুষ্টি দেশমুখের সফলতার কাহিনী এতটাই রোমাঞ্চকর। ১৯৯৫ সালে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে জন্মগ্রহণ করেন স্রুষ্টি। ছোট থেকে তাঁর ইচ্ছে ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন। সে পথে পা বাড়িয়েওছিলেন। কিন্তু জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করেননি। এরপর তিনি ভর্তি হলেন ভোপালের লক্ষ্মী-নারায়ণ কলেজ অফ টেকনোলজিতে। সেখান থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ শ্রেণীতে ফেল থেকে IAS অফিসার রুকমণি রিয়ার
সে সময় ইঞ্জিনিয়ার নয় বরং আইএএস-এর মতো উচ্চপদস্থ অফিসার হওয়ার ইচ্ছে জাগে তাঁর মনে। কিন্তু শুধু স্বপ্ন দেখলেই তো আর হবে না, তা পূরণ করার জন্য পরিশ্রম শুরু করেন তিনি। সেল্ফ স্টাডির পথ বেছে নেন স্রুষ্টি। দিনে সাত থেকে আট ঘন্টা পড়াশোনা করতেন তিনি। ইন্টারনেট থেকে জোগাড় করতেন প্রয়োজনীয় তথ্য। আশেপাশের ঘটনা সম্পর্কে সবসময় আপডেট রাখতেন তিনি। দিন রাত এক করে খুঁটিয়ে পড়েছেন সমস্ত অধ্যায়। প্রয়োজনে নোট করতেন প্রশ্ন-উত্তর। সমস্ত প্রস্তুতি সেরে পরীক্ষায় বসেন স্রুষ্টি। আর প্রথমবারেই করলেন বাজিমাত।
২০১৮ সালে ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নেন স্রুষ্টি দেশমুখ। ১৮২ জন মহিলা পরীক্ষার্থীর মধ্যে টপার হন তিনি। চোখ ধাঁধানো রেজাল্ট করে AIR-5-এর স্থানটি দখল করে নেন স্রুষ্টি। মাত্র তেইশ বছর বয়সে আইএএস হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। স্রুষ্টি মনে করতেন, ধারাবাহিক প্রস্তুতি ও কঠোর পরিশ্রম ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর সে সূত্র মেনেই আজ সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি।