মহার্ঘ ভাতা ইস্যুতে তীব্র জটিলতা চলছে রাজ্য জুড়ে। বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে ও মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে একজোট হওয়া সরকারি কর্মীদের প্রশ্ন ছিল আদৌ কি ডিএ দেবে রাজ্য সরকার? পুজোর আগে ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে দুই দিনের কর্মবিরতি ডাকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেই কর্মসূচি সফল হল নাকি, তা নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে। এর মধ্যে তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মীদের বক্তব্য ফের বিতর্কের সৃষ্টি করল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মীদের দাবি মেনে ডিএ দেবেন কিনা তা নিয়ে সরাসরি বক্তব্য রাখলেন তাঁরা।
হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই দিনের কর্মবিরতির পর সরকারি কর্মীদের একাংশ ডিএ ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মীরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কখনও বলেননি যে রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে না।” এর পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কর্মচারীদের বিরোধী কোনোও পদক্ষেপ করেন নি। তাই সঠিক সময় এলে ঠিকই ডিএ পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। অন্যদিকে, ডিএ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ১০ ও ১১ তারিখ যে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাতে সরকারি কর্মীদের অফিসে গড়হাজির থাকতে বলা হয়নি। বরং উক্ত দুই দিন অফিসে গিয়ে কাজ করতে বারণ করা হয়েছিল। তাই দুই দিনের কর্মবিরতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ডিএ আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি ব্যর্থ হয়নি।
আরও পড়ুনঃ টেট নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
ডিএ আন্দোলনকারীরা ধর্মঘট ও কর্মবিরতির পার্থক্য তুলে ধরেছেন। তাঁদের কথায় ধর্মঘট ডাকা হয়নি বরং অফিসে উপস্থিত হয়েও কাজে সামিল হতে না করা হয়েছে। তাই কর্মীদের অফিসের উপস্থিতি বিবেচনা করলে হবে না। সবমিলিয়ে তাঁদের কর্মসূচি সফল বলেই উল্লেখ করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, সরকারি কর্মীদের ডিএ কবে মিলবে তা এখনও অনিশ্চিত। নভেম্বর মাসে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার গতি কোন দিকে যাবে তা নিয়ে এখনও সংশয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীবৃন্দ।