ছোট থেকেই আর্থিক অনটনের মধ্যে বড় হয়ে ওঠা। বড় স্বপ্ন দেখতেও একসময় বাঁধতো তাঁর। ‘সাধ্যের মধ্যে স্বপ্ন দেখা উচিত’ বলে উল্লেখ করেছিলেন অনেকে। কিন্তু সমস্ত বাধা বিপত্তিকে একপাশে সরিয়ে নিজের স্বপ্নের হাতটা শক্ত করে ধরেছিলেন আদিবাসী কন্যা শ্রীধন্যা সুরেশ। দীর্ঘ পরিশ্রম ও একাগ্রতার মাধ্যমে আজ বিজয়ী তিনি।ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় নজরকাড়া রেজাল্ট করে আজ তিনি দেশের নামজাদা আইএএস (IAS) অফিসার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
কেরলের অনগ্রসর ও প্রত্যন্ত জেলা ওয়ানাড়ের বাসিন্দা শ্রীধন্যা সুরেশ। আদিবাসী কুরিচ্যা সমাজের প্রতিনিধি তিনি। তাঁর বাবা ছিলেন পেশায় দিনমজুর। ফলে আর্থিক টানাপোড়েন ও অভাব অনটন ছিল পরিবারের নিত্য সঙ্গী। সামাজিক থেকে পারিবারিক বহু প্রতিকূলতার মাঝে বড় হয়ে উঠেছেন শ্রীধন্যা। তবে পড়াশোনার প্রতি তাঁর ছিল গভীর টান। স্কুল স্তরে বরাবর ভালো রেজাল্ট করতেন তিনি। কোঝিকোড়ের সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে প্রাণীবিজ্ঞানে স্নাতক হন শ্রীধন্যা। এরপর কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লয়েড জুওলজিতে তিনি পাশ করেন স্নাতকোত্তর। ছোট থেকে স্বপ্ন দেখতেন একদিন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে উচ্চপদস্থ অফিসার হবেন। সমাজের অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যান সাধন করতে চাইতেন তিনি। সেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞাকে বাস্তব রূপায়ণ করতে এরপর শুরু হল তাঁর প্রস্তুতি।
আরও পড়ুনঃ শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই আইএএস অফিসার
নিয়মিত প্রশ্নচর্চা, খুঁটিয়ে প্রতিটি পাঠের অনুশীলন,ও গভীর মনোযোগ দিয়ে সিভিল সার্ভিসের সিলেবাস কমপ্লিট করেন তিনি। তপশিলি উপজাতি উন্নয়ন সংস্থা এবং আইএএস প্রশিক্ষণ দেয় এমন একটি সংস্থার থেকে সাহায্য পেয়েছিলেন শ্রীধন্যা। সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ইউপিএসসির সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন শ্রীধন্যা। পরীক্ষায় সফল হয়ে তিনি নির্বাচিত হন দেশের আইএএস অফিসার হিসেবে। আগামী দিনের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, নিজের লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থাকতে হবে। আর তাতেই হবে স্বপ্ন পূরণ।