আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল পশ্চিমবঙ্গ ডিএ মামলার। নভেম্বরের শুরুতে মামলার রায় শোনার অপেক্ষায় ছিলেন রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী। বহু প্রতীক্ষিত এই মামলার শুনানির দিনে যেন কিঞ্চিত আশার আলো দেখলেন সরকারি কর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা যে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন, তার প্রতিকার হতে চলেছে এবার। শুনানি শেষে সরকারি কর্মীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জোর গলায় বললেন, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের আইনসংগত অধিকার, তাই মামলার দ্রুত শুনানির প্রয়োজন অসীম।
এদিন ৩ নভেম্বর শীর্ষ আদালতে শুনানি হল রাজ্য ডিএ মামলার। মামলা ওঠে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানি শেষে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। অর্থাৎ রায় ঘোষণার বদলে আরো একধাপ পিছিয়ে গেল ডিএ মামলা। তবে সরকারি কর্মীদের আইনজীবীর কথা অনুসারে, ডিএ মামলায় সরকারি কর্মীদের জয় পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ এটি তাঁদের ন্যায্য অধিকার। আপাতত এই কথাতেই আশায় বুক বেঁধেছেন কর্মীরা। অন্যদিকে মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় খানিক আশাহত হলেন তাঁরা।
চাকরির খবরঃ বিপুল শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ চলছে বিমানবন্দরে
প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের ডিএ মামলা উঠলে আদালত সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দেয়। তিন মাসের মধ্যে কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে বলে জানায় হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ রাজ্য না মানায় রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন। এরপর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’ দাখিল করে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে নিরন্তর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যে সরকারি কর্মীরা। কবে তাঁদের ন্যায্য দাবি পূরণ হবে, সে আশায় দিন গুনছেন তাঁরা।