রাজ্যের উচ্চপ্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের জন্য স্বস্তির খবর। আপার প্রাইমারির কাউন্সেলিংয়ে বাধা দিল না সুপ্রিম কোর্ট। অতি সম্প্রতি এহেন সিদ্ধান্ত জানিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে হাসি ফোটালো শীর্ষ আদালত। এরমধ্যে এক মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আপার প্রাইমারির কাউন্সেলিং বন্ধ হবেনা এখনই। আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে প্রার্থীদের কাউন্সেলিং চালিয়ে যেতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
রাজ্যে আপার প্রাইমারির নিয়োগ জটিলতা চলছে। এর আগে কমিশন জানায়, উচ্চপ্রাথমিক স্তরে মোট ১৪,৩৩৯ টি শিক্ষক শূন্যপদ রয়েছে। উল্লিখিত শূন্যপদে এরপর নিয়োগ শুরুর বার্তা দেয় কমিশন। যথারীতি নেওয়া হয় পরীক্ষাও। ২০১৬ সালে উক্ত শূন্যপদের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেয় এসএসসি। তার তিন বছর পর ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা। আপার প্রাইমারির নির্বাচনী পরীক্ষায় পাশ করেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু এরপরই মেধা তালিকায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। যার দরুণ ২০২০ সালে মেধাতালিকা বাতিল করে কমিশন। এরপর ফের প্রকাশ করা হয় নতুন মেধাতালিকা। আপার প্রাইমারির প্রথম মেধা তালিকায় নাম থাকা ৯ হাজার প্রার্থীর কাউন্সেলিং না হওয়ার হাইকোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিং শুরু হয়। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল, এই কাউন্সেলিংয়ে কোনো চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশপত্র দিতে পারবে না কমিশন। বদলে দিতে হবে সম্মতি পত্র। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, পরবর্তী নির্দেশের আগে চাকরিপ্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগ করা যাবে না।
আরও পড়ুনঃ ৫৫৭৮ শিক্ষক পদে শীঘ্রই চাকরি জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
হাইকোর্টের নির্দেশ শুনে চাকরিপ্রার্থীদের কিছু জন হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এসএসসির মেধাতালিকায় অস্বচ্ছতা রয়েছে। কারণ প্রথম মেধাতালিকায় নাম থাকা বহু চাকরিপ্রার্থীর নামই দ্বিতীয় মেধাতালিকায় নেই। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি। বদলে উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এও জানা যাচ্ছে যে, নিয়োগ নিয়ে কোনোও সিদ্ধান্ত আসলে তাকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে।