পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দারুন খুশির খবর। কনস্টেবল নিয়োগে গতি আনতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য। কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষা কাঠামোয় আসতে চলেছে বদল। আগের মতো দুটি যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষার বদলে এবার থেকে একটি পরীক্ষা নিয়েই চাকরিপ্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। শীঘ্রই যাতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়, আপাতত সেদিকটি দেখছেন রাজ্যের পুলিশকর্তারা।
পশ্চিমবঙ্গে কনস্টেবল নিয়োগের জন্য মোট দুটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। একটি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ও অপরটি মূল লিখিত পরীক্ষা। প্রিলিমিনারি টেস্টের পর শারীরিক মাপযোক, দক্ষতা নির্ণায়ক পরীক্ষা হয়। আগের ধাপের নির্বাচিতরা এরপর অংশ নিতে পারেন মূল লিখিত পরীক্ষায়। মূল লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয় বোর্ডের তরফে। এমতাবস্থায় পুলিশকর্তাদের মতে, ধাপে ধাপে পরিচালিত কনস্টেবল নিয়োগের গোটা প্রক্রিয়াটি সারতে যথেষ্ট সময় লাগছে। যার কারণে বিলম্ব হচ্ছে শূণ্যপদ পূরণে। ফলস্বরূপ ধৈর্য হারাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরাও। তাই কনস্টেবল নিয়োগের দুটি পরীক্ষার বদলে এবার থেকে একটি পরীক্ষা করতে চাইছেন পুলিশকর্তারা। সূত্রের খবর, গত মাসে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নবান্নে।
আরও পড়ুনঃ ১২ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফেব্রুয়ারিতেই
সম্প্রতি ১২ হাজার শূন্যপদে কনস্টেবল নিয়োগের ছাড়পত্র মিলেছে মন্ত্রীসভায়। তা যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। নিয়োগ পরীক্ষার শেষে কনফার্ম তালিকার সঙ্গে একটি অতিরিক্ত রিজার্ভ তালিকা রাখার প্রস্তাবও জমা পড়েছে নবান্নে। প্রশিক্ষণের সময় উত্তীর্ণ তালিকা থেকে যদি কেউ যোগদান না করেন, তবে রিজার্ভ তালিকা থেকে সেই শূন্যপদ পূরণ হবে। যদিও, এই রিজার্ভ তালিকাটি কোনোভাবেই ওয়েটিং লিস্ট নয়। কনস্টেবল নিয়োগের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেলে রিজার্ভ তালিকার অস্তিত্ব থাকবে না বলেও নবান্নের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, প্রস্তাবের বিবেচনা করে শীঘ্রই বিবৃতি প্রকাশ করবে নবান্ন।